চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ করাই যুক্তিযুক্ত: আমানুল্লাহ ফেরদৌস
প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ৯ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৯:৫৭ এএম, ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বর্তমানে চাকরি প্রত্যাশীদের তরুণদের ভাবনায় দুটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। এর একটি হচ্ছে কোটা পদ্ধতি, অন্যটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। চাকরি প্রত্যাশী তরুণদের যুক্তি সেশন জটসহ নানা কারণে গ্রাজুয়েশন শেষ করতেই ২৩ থেকে ২৪ বছর চলে যায়। গ্রাজুয়েশন শেষ করেই যে চাকরি মিলবে তারও নেই নিশ্চয়তা। চাকরির জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে চলে যায় তিন চার বছর। এমতাবস্থায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ যুক্তিযুক্ত নয়, ৩৫ করতে হবে। তাদের যুক্তি হচ্ছে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। ওইসব দেশে যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমাদের দেশে মানুষের গড় আয়ু যখন ৫০ বা তার নিচে ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭০ বছরের বেশি (৭১ দশমিক ৬) দাঁড়িয়েছে। অথচ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আগের মতোই রয়েছে। এটি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বয়সের মারপ্যাঁচে মার খাচ্ছে মেধাবীরা। কেউ কেউ অবশ্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
এমতাবস্থায় এ বিষয়ে কী ভাবছেন শিক্ষাবিদেরা। বিষয়টির সুলোক সন্ধানে একুশে টিভি অনলাইন মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌসের। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করলে একটু সমস্যা আছে। তবে এটা বাড়িয়ে ৩৩ বছর করাই যুক্তিযুক্ত হবে। কারণ আমাদের এখানে ছেলে-মেয়েরা দেরিতে এসএসসি, এইচএসসি পাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন সেশনজট কমলেও কিছু কিছু জায়গাতে দেরিতে পাশ করে। তারপর আবার চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেক সময় চলে যায়। এখন একটি ছেলে যদি যোগ্য হয়, তবে তাকে ৩৩ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির সুযোগ দিতে অসুবিধা কী। তার কথায় উঠে আসে কোটা পদ্ধতির সংস্কার, প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা পদ্ধতি, বেকারত্ব, কর্মসংস্থান ও ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতার সামগ্রিক বিষয়।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইন প্রতিবেদক রিজাউল করিম। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের শেষ পর্ব পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় এ বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি উঠেছে। তাদের দাবিকে আপনি কতটা যৌক্তিক মনে করছেন?
আমানুল্লাহ ফেরদৌস: চাকরিতে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করার দাবি উঠছে। আামি মনে এটা ৩৩ বছর করে দেওয়া উচিত। এটা ৩৫ বছর করলে একটু সমস্যা আছে। যেটা ৩৩ বছর করাই যুক্তিযুক্ত হবে। কারণ আমাদের এখানে ছেলে-মেয়েরা দেরিতে এসএসসি, এইচএসসি পাশ করে।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন সেশনজট কমলেও কিছু কিছু জায়গাতে দেরিতে পাশ করে। তারপর আবার চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে অনেক সময় চলে যায়। এখন একটি ছেলে যদি যোগ্য হয়, তবে তাকে ৩৩ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির সুযোগ দিতে সমস্যা কোথায়? কারণ পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নাই। যে যখন ইচ্ছা, সে তখন পরীক্ষা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়াতে ৫৫ বছর পর্যন্ত বিসিএস দিতে পারে। পৃথিবীর বহু দেশে আছে এমন ৫৫ বছর, ৪৫ বছর চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা আছে। আমাদের পার্শবর্তী দেশেগুলোতেও ৪০ থেকে ৪৫ বছর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে তাদের মতো ৪০ বছর থেকে ৪৫ বছর তো করা যাবে না। কারণ আমাদের দেশে এই মুহূর্তে প্রতিমাসে ১ লাখ ৭০ হাজার লোকের চাকরি জুরুরি হয়ে পড়ে। এরমধ্যে আমরা দিতে পারি মাত্র ২৫ হাজার। অর্থাৎ প্রতিমাসে প্রাই দেড় লাখ লোকের চাকরি আমরা দিতে পারছি না। বছরে আমাদের দেশে ২০ লাখের অধিক লোকের চাকরি দরকার। কিন্তু আমরা সে পরিমাণ চাকরি দিতে পারছি না।আমাদের এখানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ লোকের চাকরি হচ্ছে।
এখন কথা হচ্ছে যেখানে ১৭ থেকে ১৮ হাজার লোক চাকরিই পাচ্ছে না। সেখানে ৩৫ বছর বা ৪০ বছর করাটা একটা সমস্যা হতে পারে। তাই সার্বিক বিবেচনায় বয়সসীমা ৩৩ বছর করা যেতে পারে। তাই আমি এ আন্দোলনকে সমর্থন করি। তবে আন্দোলনে ৩৩ বছর পর্যন্ত তারা করতে পারে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: সম্প্রতি বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বেশ নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার প্রেক্ষাপটে ওপেন বুক এক্সাম কথা বলেন শিক্ষা সচিব। সেটা বন্ধে আবার এমসিকিউ উটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। আসলে প্রশ্নফাঁস রোধে পরীক্ষা পদ্ধতিটা কেমন হওয়া উচিত?
আমানুল্লাহ ফেরদৌস: আমাদের এখানে শিক্ষা নিয়ে যেটা হচ্ছে, সেটা একটা হযবরল অবস্থা।এই সরকারের আমালে যে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন হয়েছিল সেটা অনুযায়ী আমরা চলছি না। আমরা কুদরত এ খোদা শিক্ষা নীতি সেভাবে গায়ে মাখি নাই। পরবর্তী শিক্ষানীতিও বাস্তবায়নে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এ গায়ে না মাখার কারণে এক এক সময় এক এক দল বিদেশ থেকে এসে যা খুশি তাই উপদেশ দিচ্ছেন। আর আমরা সেটাই করছি। এক সময় মনে হয়েছে আমরা এমসিকিউতে যাই, আমরা গিয়েছি।আবার মনে হয়েছে আমরা এমসিকিউ থেকে বের হয়ে যাই, আমরা সেটা থেকে বের হতে তদবির করছি। একবার মনে হচ্ছে আমাদের জেএসসি, পিএসসি দরকার। একবার মনে হচ্ছে এটার দরকার নাই। কেউ কেউ বলেছেন আমরা জেএসসি, পিএসসিতে আমরা সাবজেক্ট কমিয়ে দেব। এই সবগুলো মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা অরাজকতা চলছে। এটা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় যে সিলেবাস পড়াচ্ছি এগুলো ব্রিটিশ আমলের সিলেবাস। এই সিলেবাস ও বিভাগগুলো যে পরিবর্তন করা দরকার, কি পড়ালে আমাদের ছেলে-মেয়েরা চাকরি বাজারে ঢুকতে পারবে, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশে চাকরির সুযোগ পাবে, সেদিকে আমাদের কোনো নজর নাই। ভারত তার বাঁচ্চাদের শিক্ষা দিচ্ছে সিইও বানানোর জন্য। আর আমি বাংলাদেশে শিক্ষা দিচ্ছি বেকার হওয়ার জন্য। ভারত তার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও করে গড়ে তোলছে বা কর্পোরেট অফিসের বস বানাচ্ছে, আইটি বিশেষজ্ঞ বানাচ্ছে, আমরা উল্টো এর ৫গুণ হারে বেকার বানাচ্ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোর্সটা পড়াচ্ছি সেটা আজীবন পড়িয়ে যাচ্ছি। যেন সেটা অন্য কেউ না নিতে পারে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক ধরণের জমিদারি টিকিয়ে রাখার জন্য এটা আমরা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব পাঠ নিয়ে ছেলে-মেয়েরা কোনো চাকরি করতে পারবে কি না সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো নজর নেই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা তোয়াক্কা করছে না।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে ইউজিসি এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে ৫গুণ বড় করতে হবে। কমিশনে শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্রলোককে নিয়োগ দিতে হবে। কমিশনে জনবল বাড়াতে হবে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে আগে শিক্ষামন্ত্রণালয় আন্তরিক ছিল না। এবার খুব গুরুত্ব দিয়ে শক্ত হাতে প্রশ্নফাঁস রোধ করেছে। এবার এসএসসির ফলাফলও নিরেট হয়েছে। কোনো ফোলানো, ফাঁপানো ফল হয়নি।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: সরকারি হিসেবে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি। আবার প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে পাশ করছে। যাদের বেশিরভাগ আবার চাকরি পচ্ছে না।এর মূল সমস্যা ও সমাধান কোথায় নিহিত?
আমানুল্লাহ ফেরদৌস: আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সিলেবাসগুলো পড়াচ্ছি এটা চাকরির উপযোগী না। যার জন্য বেশিরভাগ ছাত্ররা বেকার থাকছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যা পড়াচ্ছে তার কিছু অংশ চাকরির বাজারের উপযোগী আর কিছু অংশ অনুপোযোগী।
আমরা এখানে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দিচ্ছি যে তোমার লেখা-পড়া শেষে একটা চাকরি করবা।এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। আমরা এটা শিক্ষা দিচ্ছি না, যে তুমি লেখা-পড়া শিখছো একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য। সে মানুষ হিসেবে সেখান থেকে বের হবে, উদ্যোক্তা হবে, ব্যবসা করবে, সমাজের জন্য কাজ করবে, চাকরিও করবে।আমরা শুধু যেন চাকরির ওপর নির্ভরশীল। সিলেবাসটা যেন চাকরির জন্যই করে ফেলেছি। এটার একটা সমাধান হলো এসএসসি পাশের পর আর কোন লেখা-পড়া দরকার নেই। এসএসসি পাশের পরই বিসিএস দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসএসসি পাশের পর আইএলটিএস করা বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। এসএসসি পাশের পর চাকরি বা কর্মে সবাই নিয়োজিত হোক। যে ব্যক্তি যে বিষয় পারদর্শী বা স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে সেই ব্যক্তি সেদিকেই নিজেকে নিবেদিত করুক। তবে ব্যক্তির থেকে সঠিক প্রাপ্তিটা আসবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: আমাদের দেশে কোচিংয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে শিক্ষাকে কীভাবে নিরেট সেবায় রূপান্তর করা যায়?
আমানুল্লাহ ফেরদৌস: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুই একটা ছাড়া সবই ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দূর্বলতা আছে। আবার কোচিং ব্যবসাও থামছে না। কারণ হলো অনেক শিক্ষকই ক্লাসের চেয়ে বাইরে পড়ানো অধিক রোজগারের উপায় হিসেবে দেখছেন। আবার কোচিংয়ের মাধ্যমে ছেলেরা ভালো ফল করবে বলে পিতা-মাতারাও সেটা বেঁছে নিচ্ছে।কোচিং ও গাইড সংশ্লিষ্টরাও অধিক মুনাফার সুযোগ পাচ্ছে। সেখানে সরকার বন্ধের কথা বললেও সেটা হচ্ছে না। আসলে এখানে বন্ধের জন্য উদ্যোগের ঘাটতি আছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইন: অনেকের অভিমত, শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে অনেকটাই সনদনির্ভর। দেশপ্রেম, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এগুলোর চর্চার অভাবে একজন মেধাবী দেশের সম্পদ হওয়ার পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়?
আমানুল্লাহ ফেরদৌস: নীতিনৈতিকতা শুধু ছাত্র সমাজ নয়।এটা সর্বস্তরে গ্রাস করেছে।এটার জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণ আছে।মানুষ ধীরে ধীরে বাঙালী সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয় থেকে বিচ্চুত হচ্ছে।সুস্থ্য রাজনৈতিক প্রকৃয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। রাজনীতিতে সে দেখছে একদল অন্যদলের সঙ্গে কোনো ধরণের সৌজন্যতা দেখাচ্ছে না। শ্রদ্ধাবোধ রাখছে না। আগের দিনে পারিবারিক মূল্যবোধ যেগুলো পড়ানো হতো, এখন তা আর পড়ানো হয় না।এখন আর নীতি-নৈতিকতা শেখানো হয় না। এখানে কৃষক সমাজ আস্তে আস্তে ভেঙ্গে শিল্পায়িত সমাজের দিকে যাচ্ছে। এ আধুনিক সমাজের নেতিবাঁচকতা কেবল শুরু। এটা এখনই যদি বন্ধ না করতে পারি তবে আগামীতে আমাদের ভয়াবহ সময় আসছে।এসব বিষয়ে আমাদের রাজনীতিবীদ, সুশিল সমাজ, শিক্ষক, ধর্মীয় গুরু ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা এগিয়ে না আসলে নীতি-নৈতিকতা এভাবে কমতেই থাকবে।সবার উচিত হবে নতুন প্রজন্মকে নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, শ্রদ্ধাবোধের বিভিন্ন বিষয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরা।এ ব্যাপারে রাষ্ট্র, সমাজ এমনকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও কোন পরিকল্পনা নেই।এ ব্যাপারে তাই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কে পরিকল্পনা নিতে হবে। সে বিষয়ে নতুনদের শেখাতে হবে।
/ এআর /