কক্সবাজার সৈকতে শুটিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ৯ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:৫৪ পিএম, ৯ মে ২০১৮ বুধবার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুটিং করতে গেলেই গুনতে হচ্ছে বাড়তি ফি। আর এ নিয়ে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেছেন তারকারা। স্যোশাল মিডিয়ায় তারা এ নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, তারিন, সুইটি, আ খ ম হাসান, টয়াসহ অনেকেই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সমুদ্র সৈকতে শুটিং করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াও নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়েই শুটিং করতে হয় নির্মাতাদের। সম্প্রতি এই ফি’র পরিমাণ ১০ হাজার টাকা করায় নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন তারকারা।
তাদের দাবি, বিশ্বের কাছে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে সমুদ্র সৈকতকে পরিচিত করে তুলতে ভূমিকা রেখেছে দেশের নির্মাতারাই। সেই সৈকতেই শুটিং করতে গিয়ে অনুমোদন পেতে নানা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তাদের। শুধু তাই নয়, নাটকের বাজেটের বর্তমান পরিস্থিতিতে সৈকতে শুটিং ফি বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে ডিরেক্টরস গিল্ড ও প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশানের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হলেও তাতে প্রশাসনের সাড়া মেলেনি।
এ প্রসঙ্গে ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, “সৈকতে শুটিং করতে গেলে মোটা অংকের টাকা দিতে হচ্ছে এখন। অথচ আগে এখানে ফ্রি শুটিং করা যেত। পরবর্তীতে ২ হাজার টাকা থেকে এখন সেটা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। নাটকের বাজেট এখন এমনিতেই কম, তার ওপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অর্থনৈতিক চাপ আমাদের নির্মাণকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, বৃহস্পতিবার একটি মিটিং হওয়ার কথা আছে। আমাদের প্রস্তাব থাকবে, ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্যদের জন্য অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ ও ফি মওকুফ করে দেওয়া।’’
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ব্যাবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারকারা। এ ইস্যুতে অভিনেতা রওনক জাহানের একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকাদের প্রতিবাদ মাধ্যম হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে।
#হোক_প্রতিবাদ
#কক্সবাজারএ_টাকা_দিয়ে_শুটিং_নয়
#Nopayment_for_shooting_in_coxsbazar
এমন হ্যাশ ট্যাগ ও স্ট্যাটাসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, তারিন জাহান, সুইটি, বিজরী বরকত উল্লাহ, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আ খ ম হাসান, টয়া, নির্মাতা শ্রাবণী ফেরদৌস, শুভ্র খান, ইমরাউল রাফাত প্রমূখ।
এসি