ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বিএনপির স্বাগত জানানো উচিত ছিল’

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:১৫ পিএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার

মহাকাশে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণকে স্বাগত জানিয়ে সরকার, আওয়ামীলীগ এবং দেশের জনগণকে বিএনপি’র অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।     

বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিএনপির উচিত ছিল সরকারকে, আওয়ামীলীগকে এবং গোটা জাতিকে অভিনন্দন জানানো। পৃথিবীতে দুইশতাধিক রাষ্ট্র থাকলেও স্যাটেলাইট আছে মাত্র ৫০টির মতো দেশের। আগামী কয়েক ঘন্টা পরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সমুদ্র জয় করেছে এবার আকাশ জয় করবে। আমার আশংকা হচ্ছে বিএনপি নেতারা আবার বলে বসবে না তো যে এটা ভারতের ষড়যন্ত্র। কারণ, খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সাবমেরিন ক্যাবল বিনা পয়সায় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল তখন বলেছিল এটা নেওয়া যাবেনা। এটা নিলে পরে গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়ে যাবে। আসলে যারা মেট্রিক পরীক্ষায় সব বিষয়ে ফেল করে তাদের পক্ষে সাবমেরিন ক্যাবল বুঝা সম্ভব নয়, স্যাটেলাইট বুঝাও সম্ভব নয়। 

আদালতে হট্টগোল যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে বিএনপি নেতারা বলছেন এবার তারা ভিন্নতর আন্দোলন করবে। ওনাদের ভিন্নতর আন্দোলন আদালতে হট্টগোল করা। হাইকোর্ট নয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যখন মামলা চলছে সেখানেও তারা হট্টগোল করছে। আমি আদলতের প্রতি বিনীত নিবেদন রাখবো আইনের শাসন ও আদালতের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে গতকাল যারা আপিল বিভাগে সুপ্রিম কোর্টে এজলাশের সামনে হট্টগোল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আশা করি।

বিএনপির কোন আন্দোলনে জোয়ার সৃষ্টি হয়নি এই দাবি করে তিনি বলেন, তারা নাকি আন্দোলনের গনজোয়ার তৈরি করবে। বিএনপি’র আহ্বানে সেই জোয়ার কোনো দিন আসে নাই। ঈদের পর আন্দোলন, শীতের পর আন্দোলন, রমজানের পর আন্দোলন, চাঁদ যেদিন বড় করে উঠবে সেদিন আন্দোলন, তাদের তর্জন গর্জন হচ্ছে বর্ষাকালের ব্যাঙ ডাকার মতো। বর্ষাকালে চারদিক যখন পানিতে থৈ থৈ হয়ে যায় তখন ব্যাঙ ডাকে। ওই সময় তাদের কোথাও যাওয়ার সুযোগ থাকে না। এখন খন্দকার মোশাররফ যা বলছেন তা বর্ষাকালের ব্যাঙ ডাকার মতো।

বাংলাদেশে শ্রমিকদের ২০১৩ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দিনের পর দিন অবরোধ ডেকে শ্রমজীবী মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে। অবরোধ থাকলে চাকরিজীবীদের সমস্যা হয় না, সমস্যা হয় শ্রমজীবী মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ করেন, তাদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেন। আর খালেদা জিয়া শ্রমজীবী মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন। এইখানেই হলো পার্থক্য। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে আদমজি জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়, কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, আর শেখ হাসিনা শুধু কারখানা চালু করা নয় মালিকানাও শ্রমিকদের হাতে দেন।

আআ/এসি