রবি’র বিডিঅ্যাপস’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো গুগুল আই/ও
প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০৯ পিএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার
দেশে দুই দিন ব্যাপী আয়োজিত হল গুগল ডেভেলপার কনফারেন্স ‘গুগল আই/ও’। গত ৮ ও ৯ মে দুই দিন চলে এই কনফারেন্স। গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) এবং লেটস লার্ন কোডিং (এলএলসি) এর সহায়তায় এই কনফারেন্স আয়োজন করে রবি’র বিডিঅ্যাপস।
বাংলাদেশে প্রথম টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে এমন বৃহদাকার একটি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশে। আর এটির সফল আয়োজন করে বিডিঅ্যাপস যা রবি আজিয়াটা লিমিটেডের একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর যা সবার জন্য উন্মুক্ত।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউয়ে অবস্থিত গুগুলের গ্লোবাল হেডকোয়ার্টার থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট প্রায় দেড় হাজার পেশাদার ও প্রযুক্তি-প্রেমী অনুষ্ঠানটির জন্য নিবন্ধন করেন।
রবি’র আইওটি অ্যান্ড প্রোডাক্ট ইনোভেশন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত কাদের চৌধূরী বলেন, “এরকম একটা বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং এর অংশ হতে পেরে রবি গর্বিত। রবি শুধু বাংলাদেশেই না, অন্যান্য দেশে যেখানে আজিয়াটা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেসব দেশে এদেশের তরুণ ডেভলপারদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করবে রবি।”
তরুণ ডেভলপারদের অংশগ্রহণ মোবাইল গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসায় সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশন’র ডিপার্টমেন্ট অব আইসিটি’র কো-অর্ডিনেটর মো. তাহমিদ হাসান চৌধূরী, গুগুল ডেভলপারস গ্রুপ (জিডিজি) ঢাকা’র ব্যবস্থাপক অমিত কুমার দে, লেটস লার্ন কোডিং (এলএলসি)’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সুমন মোল্লা সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব জুড়ে পেশাদার ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল গুগুল আই/ও ইভেন্ট। বিশেষ করে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ওপর নির্ভর করে ফোন কলের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট ও হেয়ার স্যালুন বুকিং করার বিষয়টি কল্পনাকে ছুঁয়ে গেছে। গুগল’র এআই’র ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ ছিলেন রবি কর্পোরেট অফিসের দর্শকরা।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রযুক্তির এ বিস্ময় দেখার জন্য বাংলাদেশের সব মোবাইল অ্যাপ ডেভলপাররা এক ছাতার নিচে মিলিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ৫০ হাজারের বেশি অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপারদের মধ্যে এ উদ্যোগ প্রেরণা যোগাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি ডেভলপার ও মোবাইল গ্রাহকদের জন্য বৃহত্তম ডেভেলপার ইকো-সিস্টেম হলো বিডিঅ্যাপস। এ মুহুর্তে দুই হাজারের বেশি ডেভেলপার বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকদের জন্য তাদের অ্যাপ্লিকেশন সেবা প্রদান করছেন। ২০১৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে দুই হাজার ৭শ’ টির বেশি অ্যাপ্লিকেশন এই প্লাটফর্মে প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতি মাসে ১২ লাখের বেশি গ্রাহক এ সেবা গ্রহণ করছেন বলে জানায় রবি।
এ প্লাটফর্মটির রাজস্ব ভাগাভাগির মডেলটির মাধ্যমে দেশের অনেক প্রতিভাবান তরুণ ডেভেলপার নিজের মতো করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বিডিঅ্যাপস ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবায়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির ।
//এস এইচ এস//এসি