ফেনী শহরে অনুমোদনহীন বাস কাউন্টার, বাড়ছে যানজট
প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার
ফেনী শহরের এসএসকে সড়কে অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক বাস কাউন্টার চালু করায় যানজট ক্রমেই বাড়ছে। শুক্রবার একই দিনে এনা পরিবহন শহরের পুলিশ কোয়ার্টারসংলগ্ন স্থানে নতুন কাউন্টার স্থাপনের পর একই সড়কের গ্রিন টাওয়ারসংলগ্ন স্টার লাইন পরিবহনের আরেকটি কাউন্টার চালু হয়। এতে করে শহরের ব্যস্ততম এ সড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। ওই সড়কে এর আগে থেকে দুটি পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে।
এসএসকে সড়কে চালু হওয়া এনা পরিবহনের নতুন কাউন্টার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম।
তিনি বলেন, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ গেটসংলগ্ন স্থানে একটি কাউন্টার থাকা সত্ত্বেও একই সড়কে আরেকটি কাউন্টার করায় শহরে যানজট ও জনভোগান্তি বাড়ছে। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপন করলে জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন বলেন, ব্যবসা করার অধিকার সবার আছে। তা নিয়ম মেনেই করা উচিৎ।
জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএর সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্টার লাইন পরিবহনের অফিস সূত্র জানিয়েছে, যাত্রী সেবা বাড়াতে তারা অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য আরেকটি কাউন্টার চালু করেছে। তবে এনা কাউন্টারটি সরানো না হলে তারাও ট্রাংক রোডের কাউন্টার থেকে গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
স্টার লাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন জানান, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং নিজস্ব টার্মিনাল স্থাপনের পর ২০০৪ সালে আরটিসির অনুমোদন নিয়ে এসএসকে সড়কে স্টার লাইন পরিবহনের কাউন্টার চালু হয়।
বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, এসএসকে সড়কে চালু হওয়া এনা পরিবহনের কাউন্টারের অনুমোদন নেই। সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের সামনে কাউন্টার স্থাপন করায় তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হলেও এর কোনো জবাব দেননি এনা পরিবহনের কর্মকর্তারা।
এনা পরিবহনের ফেনী শাখার ম্যানেজার হাসান চৌধুরী জানান, তারা নতুন কাউন্টারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। এ ছাড়া জিয়া মহিলা কলেজের সামনের কাউন্টারটি আগের সি-লাইনের জন্য অনুমোদন রয়েছে। এনা পরিবহনের নামে পরিবর্তনটি প্রক্রিয়াধীন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম বলেন, আরটিসির অনুমোদন ছাড়া যেসব কাউন্টার খোলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শহরের যানজট কমাতে ২০০২ সালে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ক’টি বাসস্ট্যান্ড শহরের বাইরে সরিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।