ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল দঙ্গল গার্ল

প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:০৬ পিএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার

‘দঙ্গল’, ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এ নিজের অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ করেছেন অসংখ্য দর্শককে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দুটি ব্লকবাস্টার মুভি তাঁর ঝুলিতে। প্রথম সিনেমাই পারফেকশনিস্ট আমির খানের সঙ্গে। তবে এই চরম সাফল্যেকে ছোঁয়ার আগে ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন জায়রা ওয়াসিম।
বিষন্নতা এমন তীব্রভাবে ঘিরে ধরে তাঁকে যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জায়রা। মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথম প্যানিক অ্যাটাক হয় তার। তারপরই ডিপ্রেশন, নার্ভাস ব্রেকডাউন, মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে সে। কখনও বেশি ঘুমনোর জন্য অসুস্থতা তো কখনও কম ঘুমনোর জন্য শারিরীক-মানসিক চাপ, আবার কখনও অনাহারে থাকা। চার বছরেরও বেশি সময় এমনভাবেই কাটিয়েছেন এই ‘দঙ্গল গার্ল’৷ সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকউন্টে ব্যক্ত করলেন ব্যক্তিগত জীবনের এই সত্য।
জায়রা লেখেন, ‘আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে, ১২ বছর বয়সে প্রথম প্যানিক অ্যাটাক হয় আমার। সেসময় ‘প্যানিক অ্যাটাক’ শব্দটার সঙ্গে পরিচিতও ছিলাম না। প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলাম যখন বুঝতে পারি, আমি ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তার থেকেও বেশি আঘাত পাই যখন দেখি, সবাই ব্যাপারটাকে খুবি সামান্য সমস্যা বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। কেউ মানতেই চাইতো না যে আমি বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সবার মুখে খালি একটাই কথা, ‘এটা ডিপ্রেশনের বয়স না। ডিপ্রেশন আসে ২৫ বছর পরে। এটা যাস্ট একটা ফেজ। খুব তাড়াতাড়িই কেটে যাবে।’
সবার কথা মতো আমিও নিজেকে সেইভাবে বোঝাতে লাগলাম। চার বছর ধরে আমি ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করে চলেছি। গত চার বছর ধরে চলছে এই স্ট্রাগেল। আমার নিজেরও মনে নেই দিনে কতগুলো করে ঔষুধ খেতাম, কতবার প্যানিক অ্যাটাক আসত।
এই সময়ে এমনও মূহুর্ত গিয়েছে যখন জায়রা হ্যাল্যুসিনেট করতেন। কখনও কখনও তার শারিরীক এবং মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যেত যে মাঝরাতে তাকে নিয়ে হাসপাতাল ছুটতে হত। এক সময় ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন।
তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, আজ এসবের ঊর্ধ্বে জায়রা। নিজের অসুস্থতাকে স্বীকার করে গর্বের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন নায়িকা। পোস্টটিতে তিনি সেই প্রত্যেকটি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাঁরা সেই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাড়িয়েছিল।

সূত্র : কলকাতা টুইন্টিফোর

এসএ/