ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পিরিয়ডের সময়ের যন্ত্রণা কমাতে ১০ খাবার

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ১১ মে ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০২:১২ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মাসের এই একটা সময়ে নারীদের অতিরিক্ত সাবধান থাকাটা জরুরি। কারণ পিরিয়ডের সময় শরীর একেবারেই ঠিক থাকে না। সেই সঙ্গে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খাওয়া শুরু করলে পিরিয়ডের যন্ত্রণা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরের অন্য সব সমস্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলো পিরিয়েডের সময় ডায়েট চার্টে রাখা রাখলে আপনার যন্ত্রণাকে অনেকাংশে কমাবে সেগুলো হল-

কলা

এই ফলটির ভেতরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও সব উপকারি উপাদান, যা বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটায়। ফলে পিরিয়ডের সময় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা একাধিক সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমে চোখে পরার মতো। ফলে শারীরিক এবং মানসিক কষ্ট কমতে থাকে।

সবুজ শাক-সবিজ

এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা দেহের ভেতরে এই উপকারি উপাদানটির ঘাটতি মেটানোর মধ্যে দিয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, শরীরে আয়রনের মাত্রা কমতে শুরু করলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো মহিলাদের নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ডার্ক চকোলেট

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি মন ভাল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই সময় শরীরের ভেতরে নানা রদ বদল হতে থাকে। যে কারণে মন মেজাজ একেবারেই ঠিক থাকে না। এক্ষেত্রে মুড ভাল করতে দারুনভাবে কাজে আসতে পারে এই খাবারটি। আসলে ডার্ক চকোলেট খেলে শরীরে সেরোটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে মন এবং শরীর, উভয় ভাল হতে শুরু করে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

শরীরের জন্য উপকারি এই উপাদানটি পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই সময় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, কুমড়োর বীজ, তিসি বীজ প্রভৃতি বেশি করে খেতে হবে।

বাদাম

মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে বেশি মাত্রা বাদাম খেতে হবে। তবে তা যেন হয় লবণ ছাড়া। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে পিরিয়ডের যন্ত্রণা একেবারে কমে যায়। সেইসঙ্গে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

হোল গ্রেন

পিরিয়ডের সময় এই জাতীয় খাবার খেলে একদিকে যেমন শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি যন্ত্রণাও কমে। আসলে হোল গ্রেনে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, যা কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ায়। সেইসঙ্গে পিরিয়ডের সময়কার ক্ষিদের জ্বালাও মেটায়।

ফাইবার রয়েছে এমন খাবার

ফাইবার নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন, দেহের ওজন কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আর যদি পিরিয়ডের সময়কার কথা বলেন, তাহলে বলতেই হয় যে এই সময় শরীরের নানাবিধ কষ্ট কমাতে ব্রকলি, অ্যাভোকাডো, জাম এবং ডালের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চান, তাহলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে ভুলবেন না যেন!

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

এই সময়কার নানাবিধ শারীরিক সমস্যা কমাতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটমানি ডি দারুনভাবে সাহায্য করে। তাই যখনই দেখবেন পিরিয়ডের যন্ত্রণা খুব বেড়ে গেছে, তখন বেশি করে দুধ খেতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, দুধে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি দুটিই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই তো এই সময়কার শারীরিক কষ্ট কমাতে এই এই খাবারটি এতটা কাজে আসে।

বেশি করে জল খেতে হবে

পিরিয়ড চলাকালীন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। এমনটা করলে স্টমাকে পানি জমার আশঙ্কা কমে। ফলে পেটের যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি দূর হয়। তাই এবার থেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারলেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে বুলবেন না। দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বিনস প্রভৃতি খাবারে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। তাই তো এই সব খাবারগুলি মাসের এই নিদির্ষ্ট সময়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই খনিজটি পিরিয়ডের সময়কার শারীরিক অস্বস্তি এবং যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

একে//টিকে