ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কোটা সংস্কার : কাল সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : একুশে টিভি অনলাইন

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : একুশে টিভি অনলাইন

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে আগামীকাল রোববার ১১টায় সারাদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ‘কোটা সংস্কার অান্দোলনের’ পরবর্তী করণীয় ও চলমান সমস্যা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে আমাদের অনেক ভাইয়ের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল ঘোষণা দিলেও এখন প্রজ্ঞাপন না হওয়ার কারণে আমরা হতাশ হয়েছি। সচিব সরকারের সঙ্গে তালবাহানা করছে।
এর আগে কোটা সংস্কার ও প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা না পেয়ে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করলো শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের পর কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল থেকে চারদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পর দিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি- আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।

এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল রাতে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক বক্তব্য কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার দাবি জানান।

পরে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন।

টিআর/এসএইচ/