ছাত্রলীগের সম্মেলন : যেকোনো সময় আসতে পারে ঘোষণা
আলী আদনান
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম সম্মেলনের আজ দ্বিতীয় দিন। আজ যেকোনো সময় আসতে পারে প্রধান দুটি পদের নাম ঘোষণা। এর মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়ে যাবে কে হচ্ছেন আগামী দু`বছরের জন্য ছাত্র সংগঠনটি কান্ডারী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন সেটি যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংগঠনটির সাংগঠনিক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আসবে সেটি নিয়ে এখন কারোরই সন্দেহ নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যে, নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের বায়োডাটা দেখে তিনি পছন্দের প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছেন।
গতকাল ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রথম দিনে দিনভর আলোচনার বিষয় ছিল কারা আসছে নতুন নেতৃত্বে। কে হচ্ছেন সভাপতি আর কে হচ্ছেন তার ‘রানিং মেট’ তথা সাধারণ সম্পাদক। সম্মেলনস্থল ছাড়াও রাজনীতি উৎসাহী মানুষ, ছাত্র সমাজ সবার মধ্যেই ছিল এই আলোচনা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সমর্থিত প্রার্থীদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে যুক্তি দেখিয়েছেন।
নেতৃত্ব প্রত্যাশী নামগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও ছিল জোরালো প্রচার। জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দিনভর তাদের পছন্দের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। তবে যত প্রচার-ই চলুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই হবে না এবারের সম্মেলনে। ছাত্রলীগ ও সংগঠনটির সাবেক নেতাদের প্রত্যাশা শেখ হাসিনা গ্রহণযোগ্য ও সবার আস্থাভাজন এমন দু’জনকেই নেতা নির্বাচিত করবেন।
ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ যেকোনো সময় শেখ হাসিনা সংগঠনটির দুই শীর্ষ পদে তার পছন্দের ব্যাক্তিদের দুটি নাম পাঠিয়ে দেবেন। সেই মতে আগামী নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
তবে ছাত্রলীগের দফতর সূত্রে জানা গেছে, কোনো প্রার্থী ভোটের দাবিতে অনঢ় থাকলে তথা সমঝোতা না হলে অবশ্যই ভোটাভুটিতে নেতা নির্বাচন করা হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে বলেও জানান সংগঠনটির দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা।
তবে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাণপ্রিয় নেত্রী যখন নেতৃত্ব পছন্দ করে রেখেছেন সেখানে কেউ ভোট দাবি করবে এমনটি অপ্রত্যাশিত। সবাই প্রত্যাশা করছে শেখ হাসিনার পছন্দের সঙ্গে সবার পছন্দ মিলে যাবে।
কারা হচ্ছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা কাদের হাতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠনটির আগামী দিনের নেতৃত্ব তা জানতে হলে রাজনীতি সচেতনদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
/ এআর /