কোটা লক্ষ্য অর্জনের জন্য চিরন্তন ব্যবস্থা নয়ঃ আকবর আলি খান
প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্যই কোটা ব্যবস্থা প্রয়োজন। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী তা পরিবর্তন করাও উচিত। এটা চিরন্তন কোনো ব্যবস্থা নয়।’
আজ শনিবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে কোটা ব্যবস্থা আছে তা অত্যন্ত দুর্বল। কোটা হলো কোনো লক্ষ্য অর্জনের ব্যবস্থা মাত্র। কোটা কখনও চিরন্তন ব্যবস্থা হতে পারে না। প্রতিবন্ধীদের জন্য যে এক শতাংশ কোটা আছে, তাও বাধ্যতামূলক নয়। দেশে শতকরা ১০ জন লোক প্রতিবন্ধী। এই বিবেচনায় তাদের জন্য সরকারি চাকরির কোটা ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা উচিত। তবে প্রতিবন্ধীদের আরও শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে।
বিতর্ক অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘টেকসই উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ’ এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি খান বলেন, েপ্রতিবন্ধীদের কোথায় কোথায় কাজে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সরকারের তেমন কোনো বিশ্লেষণ ও গবেষণা নেই। প্রতিবন্ধীদের মধ্যেও অনেক সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে। তারা বিভিন্ন কারণে মূলধারায় আসতে পারছে না। তবে প্রতিবন্ধীদেরও যদি শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে তারাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়ে উঠবে। ফলে সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও তারা নিয়োগের সুযোগ পাবে। তখন হয়তো আর কোটার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। অতএব বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে তাদের মূলধারায় আনতে হবে এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য যে কোটা আছে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারি, সাংবাদিক জাহিদ রহমান, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন ও মু. শাহ আলম চৌধুরী।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
কেআই/ এআর