সেনা মোতায়েনের দাবি মঞ্জুর, ইসিতে আস্থা রাখছেন খালেক
প্রকাশিত : ১০:২৬ পিএম, ১২ মে ২০১৮ শনিবার
পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখছেন।
মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। রোববার শেষ হবে প্রার্থীদের প্রচার।
শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু বলেন, ‘একটি অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক ও ভীতিহীন নির্বাচনের জন্যই আমি বারবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছি। আমাদের বক্তব্য খুব সুস্পষ্ট, দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার ছোট কোনো বিষয় নয়, নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তা না হলে ১৫ তারিখ পর্যন্ত যা হবে, তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনার যা যা প্রয়োজন মনে করবে তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। কোনো স্পেসিফিক বাহিনীর নাম আমি বলতে পারব না। আমার মনে হয়, আমি অসন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু দেখি নাই। আমি একটা কথা বলছি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কিছু যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থাগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নাই।’
এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে।
সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না দাবি করে মঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী পুলিশের ভূমিকা কত জঘন্য এবং কতখানি হিংসাত্মক, গত কয়েক দিনে দেড়শ’র মতো কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। এই যে তাদের প্রতিহিংসার রূপ। গতকাল রাতে এক হাজার কর্মীর বাড়িতে তারা হানা দিয়েছে। এখন নেতাদেরও গ্রেপ্তার করছে।’
‘আমাকে নিয়ে, বিএনপিকে নিয়ে এতও ভয় কীসের? ওনারা তো বলছেন, ওনারা বিজয়ী হবেন। উন্নয়নের জোয়ার দেশে বইছে, খালেক তালুকদার সেই জোয়ারে নৌকা ভাসাবেন। তাহলে কেন গণগ্রেপ্তার, বাড়িতে বাড়িতে কেন পুলিশের হানা। তার মানে বার্তা পেয়েছেন, এই শহরের মানুষ এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রায় দিবে।’
কেআই/এসি