ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থী

প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ১৩ মে ২০১৮ রবিবার

শেষ মুহূর্তের প্রচারে এখন সরগরম খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন দু’দলের মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছেন তারা। মেয়র প্রার্থীরা একেক দিন একেক জায়গায় প্রচার চালালেও এলাকায় বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। 

মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, বিপরীতে রয়েছেন বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু।  

শনিবার খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের জনসংযোগ করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার খুলনাবাসী তাদের নগর পিতা বেছে নিতে ভোট দেবেন পছন্দের প্রতীকে। ভোটের আর দুই দিন বাকি থাকলেও শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারের কালই শেষ দিন।   

নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেছেন, রোববার ‘যে কোনো সময়’ নগরীতে ১৬ প্লাটুন বিজিবি নামবে। 

নির্বাচনে খুলনায় পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩১ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।  

নির্বাচনে পাশাপাশি ৩১ জনকে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১০ জন মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন নগরবাসী। সেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। 

শনিবার সকালে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন তালুকদার খালেক। সকাল ৮টা থেকে নগরীর মতিয়াখালী ব্রীজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। 

এরপর শিপইয়ার্ড, মতিয়াখালী মৌজা, মোল্লা বাড়ি, লবণচরা, জিন্নাহপাড়া, হঠাৎ বাজার, বান্ধা বাজার, বোখারী পাড়া, মোক্তার হোসেন রোড সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চান তিনি।

গণসংযোগকালে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি তার সময়ে হওয়া নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি। 

অন্যদিকে শনিবার সকালে নগরীর মিয়াপাড়া, মৌলভীপাড়া, দোলখোলা, টি বি বাউন্ডারী রোড, টুটপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

এ সময় সাধারণ ভোটারদের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে ভোট চান খুলনা-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।

সকালে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ তুলে ভোটের তিন দিন আগেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘একটি অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক ও ভীতিহীন নির্বাচনের জন্যই আমি বারবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার খালেক বলেন, ‘বিএনপি এমন কথা প্রথম থেকেই বলে আসছে। জনগণ তাদের সেই কথায় এখন গুরুত্ব দেয় না।’

সকালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বলেন, ‘অবাধ,  সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনার যা যা প্রয়োজন করবে, তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। 

শুক্রবার রাতে নগরীর কয়েক জায়গায় ১০টি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে উল্লেখ করে এর পেছনে বিএনপি সমর্থকদের দায়ী করেন হারুন।

বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন,  ‘যদি কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, এর বাইরে কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়, বিরক্ত করা না হয়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।’ 

কেআই/এসি