ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

কুবির শিক্ষার্থীবাহী তিন বাসে হামলা

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:৩০ এএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী তিনটি বাসে কুমিল্লা মহানগর ও কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাসগুলোতে কোটাবিরোধী আন্দোলকারীরা রয়েছে সন্দেহে এই হামলা করা হয়।

এদিকে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে রাত ১০টায় ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদ আহমেদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্ররা জানান, বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্রবহনকারী তিনটি বাস পুলিশ লাইনে কুমিল্লা সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসগুলোর ওপর হামলা করে কুমিল্লা মহানগর ও কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ছাত্রবহনকারী বিআরটিসির একটি বাস সম্পূর্ণ ভাঙচুর করে। ওই তিনটি বাসে থাকা ছাত্ররা নেমে এসে হামলাকারীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। লাঠি এবং ইট-পাটকেল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় ঝাউতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস সড়কে আড়াআড়ি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সড়ক বন্ধ করে দেয়। ছাত্রলীগেরকর্মীরা কুমিল্লা সরকারি কলেজে অবস্থান নিয়ে হামলা করে। তারা মুখোশ পরে ছাত্রদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠি নিয়ে তাড়া করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির পর তারা নগরীতে গাড়িযোগে প্রবেশ করছিলেন। এসময় তারা অতর্কিতে হামলা করে। আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করতে পারি সন্দেহে তারা এই হামলা চালায়। এতে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার বিচার চাইতে পুলিশের কাছে গেলে পুলিশের সামনেই আমাদের ওপর আবারও হামলা হয়।

মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিহানুক বলেন, আমরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই,এটি সাধারণ ছাত্রদের বিষয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( উত্তর) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, হামলার কারণ এখনও জানা যায়নি। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক হলে তদন্ত করে হামলার কারণ জানা যাবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমি ঢাকায়। তবে, ছাত্রদের বাসে হামলার খবর পেয়েছি।

এসএইচ/