যশোরে টার্কি চাষে সাবলম্বী হচ্ছেন খামারিরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:৩৯ এএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার
যশোরের শার্শায় পারিবারিক ও বাণিজ্যিক ভাবে টার্কি পালন শুরু হয়েছে। অল্প বিনিয়োগ করে বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ মুনাফা পাচ্ছেন খামারিরা। বেকারত্ব নিরসনে টার্কি পালন সহায়ক ভুমিকা পালন করছে বলেও মনে করেন স্থানীয়রা। শার্শার দুই যুবক পড়ালেখা শেষ করে টার্কি পালন করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। আর তাদের দেখে আরও অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এখন।
টার্কির মাংস চর্বিহীন হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। দ্রুত বর্ধনশীল একটি টার্কি বছরে ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজন হওয়ায় লাভজনকও। নতুন জন্ম নেয়া বাচ্চা পালন করে মাত্র তিন মাসের মাথায় দ্বিগুণের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন খামারীরা।
টার্কিদের কলমি, হেলেঞ্চা, সরিষা, পালংসহ বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি খাওয়ানো হয়। রোগ বালাই থেকে রক্ষা করতে আড়াই মাস বয়সী টার্কিকে চারটি ভ্যাকসিন দেয়া হয়। টার্কি জ্বর-ঠান্ডা ছাড়া আর কোনো রোগে আক্রান্তও হয় না।
তিন বছর আগে লেখাপড়া শেষ করে শার্শার সম্বন্ধকাঠি গ্রামের রাজু হোসেন ও খলিসাখালী গ্রামের সজিব টার্কি পালন শুরু করেন।
বর্তমানে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন টার্কি পালনে।
লাভজনক হওয়ায় শার্শায় দিন দিন টার্কি পালন প্রসারিত হচ্ছে বলে জানান প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
বেনাপোল ও শার্শার মানুষ পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন করে মাংসের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন।