ঢাকা, বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫,   মাঘ ২ ১৪৩১

বিএনপি ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করার চেষ্টা করছে: খালেক   

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:০৪ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, বিএনপি ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করছে। এর আগেও তারা এ কাজ করেছে। এখনো ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করার পাঁয়তারা করছে। 

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।   

এর আগে বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটের ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর।

বিএনপি প্রার্থীর সেই ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘ওই অভিযোগ তো আমি করব। কারণ, ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমার ছিল তালা মার্কা। বিএনপি ওই মার্কা ঝুলিয়ে সব জায়গায় ভোট দিয়েছে। এবারও শুনেছি তারা নৌকার ব্যাজ তৈরি করেছে। ওই ব্যাজ পরে তারা ভোটের দিন কাজ করবে।’

খালেক বলেন, ‘নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিং করে গতবার আমাকে হারানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং তো আমি করি না। সেটা আজও দৃশ্যমান।’

খালেক বলেন, ‘২০০৮ সালে ১ লাখ ৫৮ হাজার ভোট পেয়েছি। ২০১৩ সালে হাজার কোটি টাকার কাজ করেও ১ লাখ ২০ হাজার ভোট পেয়েছি। ভোটে যে ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমাকে হারানো হয়েছে, তা পরবর্তী সময়ে জানতে পেরেছি। এই কাজটি যারা করেছে, তারা এখনো এই শহরে আছে।’

খালেকের দাবি, যদি ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং করা হতো তাহলে ২০১৩ সালে তিনি হারতেন না। ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং আওয়ামী লীগ কখনো করে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মানুষের ভোটে বিজয়ী না হলে জবাবদিহি থাকে না বলে মনে করেন তিনি। এ কারণে তিনি জবাবদিহিতে বিশ্বাস করেন।

খুলনাবাসীর উদ্দেশে তালুকদার খালেক বলেন, ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রতি পাঁচ বছর পর পর মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। সুষ্ঠুভাবে ভোট দেবে। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন যেন হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি সে দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি আগে পাঁচ বছর খুলনায় কাজ করেছি। এক জায়গার সংসদ সদস্য ছিলাম। সেখান থেকে পদত্যাগ করে এখানে এসেছি। আমি চাই, আমার দল চায় উন্নতি করতে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী ডেকে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এই এলাকার উন্নয়ন করার জন্য। আমি যেন আমার শেষ জীবনটি এই এলাকার মানুষের সেবায় কাটিয়ে দিতে পারি, সবার কাছে সেই দোয়া চাই।’ 

কাল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং খুলনার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তাদের মেয়র নির্বাচিত করবে, এই প্রত্যাশা করেন তিনি। জনগণ যে রায় দেবে, সে রায় মেনে নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার মতো কোথাও কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে দাবি তাঁর।

এসি