ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

বিয়ের আগে আলাদা হোটেলে থাকবেন মেগান ও হ্যারি

প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ে নিয়ে হইচই তো কম হচ্ছে না। গোটা বিশ্বের সব বিনোদন সাংবাদিকদের চোখ এখন এই দুই সেলিব্রেটির বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে। নানা রকম খবর চাউর হচ্ছে। এবার জানা গেল বিয়ের আগে তারা দু’জন একসঙ্গে থাকছেন না। থাকবেন আলাদা হোটেলে।
হ্যারি মেগানের বিয়ে হবে উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে। এটি সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে ২০ মাইল দূরে সবচেয়ে পুরোনো ও বড় দুর্গ। প্রাচীনতম এই দুর্গেই খ্রিষ্টীয় রীতিতে বিয়ে হবে মেগান ও হ্যারির। উইন্ডসর হ্যারির দাদি ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাসস্থান। সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় তিনি এখানেই থাকেন।
বিয়ের আগের রাতে একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উইন্ডসর ক্যাসেলের কাছাকাছি বিলাসবহুল কোওয়ার্থ পার্ক হোটেলে থাকবেন প্রিন্স হ্যারি। জীবনের শেষ ব্যাচেলর নাইটটি তিনি ভাই প্রিন্স উইলিয়াম আর কাছের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন।
কোওয়ার্থ পার্ক হোটেল থেকে উইন্ডসর যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। পার্কল্যান্ডের এক একর জায়গার ওপর এই হোটেল। এই হোটেলের যে রুমে প্রিন্স হ্যারির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার জন্য প্রতি ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১ হাজার ২৭০ পাউন্ড।
বিয়ের প্রস্তুতি এখন একেবারই চূড়ান্ত। গত শনিবার রাজপরিবার থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ের ব্যাপারে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্মতির কথা জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ প্রিভি কাউন্সিলের সভায় রানি আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিয়ের অনুমতি দেন।
হ্যারি-মেগানের রাজকীয় বিয়ের ভেন্যু ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব পেয়েছেন লন্ডনের ফুল ব্যবসায়ী ফিলিপ্পা ক্র্যাডোক। থাকছে সাদা গোলাপ, পিওনি ও ফক্সগ্লোভস। ফুলের পাশাপাশি ভেন্যু সাজাতে কয়েক ধরনের সুন্দর পাতাও ব্যবহার করা হবে। আর বিয়ের পর সেই ফুলগুলো সব দান করে দেওয়া হবে স্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। বিয়েতে ব্যবহৃত অনেক ফুল আর পাতা সংগ্রহ করা হবে রাজপরিবারের নিজস্ব ক্রাউন এস্টেট আর উইন্ডসর গ্রেট পার্কের বাগান থেকে।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল দুপুরে বিয়ের শপথ নেবেন। এক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা। উইন্ডসর ক্যাসেলের মাঠ থেকে ১ হাজার ২০০ জন সাধারণ মানুষ এই রাজকীয় বিয়ের সাক্ষী হতে পারবেন। আর লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল নয়টার মধ্যে তাঁদের উপস্থিত হতে হবে।
রাজপরিবারের সদস্য বলে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের বিয়ের অনুষ্ঠান বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই সরাসরি দেখা যাবে। বিয়ের অনুষ্ঠান পাবলিক হয়ে গেলেও মধুচন্দ্রিমা যথাসম্ভব গোপনেই সারবেন মেগান-হ্যারি। তবে রাজপ্রাসাদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ের পর শিগগিরই হানিমুনে যাচ্ছেন না এই হবু দম্পতি। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা যাপনে বটসওয়ানা যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বাগদানের আগেও একবার সেখানে গিয়ে ছুটি কাটিয়ে এসেছেন দুজন।
সূত্র : ডেইলি মেইল
/ এআর /