স্ত্রীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত শশি ঠারুর
প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে ভারতের এমপি ও সাবেক কূটনীতিক শশি ঠারুরের বিরুদ্ধে। প্রথমদিকে পুলিশ একে আত্মহত্যা হিসেবে দেখলেও, পরে একে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে। অবশ্য কোনো সন্দেহভাজনের নাম পুলিশ তখন বলেনি। তবে দিল্লি পুলিশ এখন শশি ঠারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও তার প্রতি নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ গঠন করেছে।
তবে ঠারুর এক টুইট বার্তায় এই ‘অযৌক্তিক অভিযোগে’র বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি হলেন শশি ঠারুর। ২০১০ সালে দুবাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী সুনন্দা পুষ্করকে বিয়ে করেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এই মৃত্যুর কারণ এখনও অস্পষ্ট।
মৃত্যুর পর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তিনি হয়তো অপরিমিত ওষুধ সেবনের কারণে মারা গেছেন। তবে এরপরের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, তার শরীরে ‘বিষপ্রয়োগ,’ ‘রহস্যজনক ইনজেকশনের চিহ্ন’ এবং হাতের তালুতে ‘কামড়ে’র চিহ্ন রয়েছে। সুনন্দার মৃত্যুর আগে এই দম্পতি এক টুইটার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
শশি ঠারুরের ফাঁস হওয়া টুইটার মেসেজে দেখা গেছে, তিনি একজন পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। তবে পরে অবশ্য সুনন্দা ও ঠারুর উভয়েই প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তারা সুখে শান্তিতেই সংসার করছেন। তারা তখন বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ‘অনুমোদিত’ কিছু টুইটকে দায়ী করেন। ২৫ বছর ধরে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঠারুর। তিনি একসময় জাতিসংঘের যোগাযোগ ও জনতথ্যবিষয়কসহ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২০০৭ সালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচনে লড়েন। তবে সেবার তিনি বান কি মুনের কাছে হেরে যান। এরপর তিনি জাতিসংঘ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পান মন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে আইপিএল-এ একটি ক্রিকেট দলের নিলামে তার জড়িত থাকার অভিযোগে সৃষ্ট কেলেঙ্কারির পর তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নিতে হয়। সেবার অভিযোগ উঠেছিল, ওই আইপিএল দলে সুনন্দা পুষ্কর বিনামূল্যে শেয়ার পেয়েছিলেন। পরে ২০১২ সালে তিনি ভারতের মানবসম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
এসএইচ/