‘শুধু অসুস্থতার যুক্তিতে জামিন দেওয়া যায় না’
প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘অসুস্থতাজনিত কারণে যদি জীবনহানির আশঙ্কা না থাকে এবং মেডিকেল বোর্ডের যথাযথ মতামত না থাকে তাহলে শুধু অসুস্থতার যুক্তিতে জামিন দেওয়া যায় না।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘হাইকোর্ট ইতিপূর্বে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দিয়েছেন কিন্তু সরকার বা দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) কেউই এর বিরুদ্ধে আপিল করেনি। শুধু এই (খালেদা জিয়ার মামলায়) একটি মামলাতেই পরীক্ষামূলকভাবে রাষ্ট্র-দুদক এক সঙ্গে হয়ে আপিলে এসেছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে।’
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির সময় এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। শুনানি শেষে আগামীকাল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবারের শুনানিতে দুদকের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, ব্যারিস্টার মীর নাছিরের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিমের মামলার উদাহরণ তুলে ধরেন।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নাজমুল হুদা এক বছর আটমাস কারাভোগ করার পর গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় তাঁর জামিন হয়। একইভাবে মোহাম্মদ নাসিমকে দণ্ড দেওয়ার পর তাঁর এক পা ও হাত প্যারালাইসিস হয়ে যায়। মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। একইভাবে সংক্ষিপ্ত সাজায় মীর হেলাল ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় জামিন দেওয়া হয়। তাঁদের প্রত্যেকে অনেকদিন সাজা খেটেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
আরকে//এসি