ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

‘ভোটার ‍উপস্থিতি ৩০ শতাংশ’

ফল প্রত্যাখ্যান বিএনপির, সিইসির পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ১৬ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:৪৭ পিএম, ১৬ মে ২০১৮ বুধবার

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি করেন।
খুলনায় সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ৬৫ শতাংশের বেশি বলে নির্বাচন কমিশনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন রিজভী। বলেন, মূলত, সেখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩০ শতাংশেরও কম। সন্ত্রাসীদের হামলা ও বাধার কারণে অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটাররা যেতে পারেনি।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভোট-ডাকাতি, ভোট-সন্ত্রাস, জাল ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল, অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালন ছাড়া আওয়ামী লীগের বিজয়নিশানে হাওয়া লাগে না। খুলনা সিটি নির্বাচনে নিরস্ত্র ভোটারদের ওপর অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শন হয়েছে।
রিজভীর অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের বাধা ও সন্ত্রাসী হামলার মুখে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের অধিকাংশকেই কেন্দ্র থেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা নেই, সামর্থ্য নেই, যোগ্যতাও নেই। নির্বাচনে এক নজিরবিহীন ভোট-ডাকাতির দক্ষযজ্ঞ জনগণ প্রত্যক্ষ করল। ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের ভোটার ও সমর্থকেরা যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তা কোনো সুস্থ নির্বাচন পদ্ধতি হতে পারে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লজ্জায় গণমাধ্যমের সামনে না এলেও ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, খুলনায় চমৎকার ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। উনি ঠিকই বলেছেন, উল্লিখিত ভোটের পরিবেশই হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোটারদের ভোট দেওয়া হয়ে যায়, পুলিশের সহায়তায় ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট-ডাকাতির উৎসব চলে, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যালট পেপার আগেই শেষ হয়ে যায়, কেন্দ্র দখল করে আধা ঘণ্টায় ১ হাজার ২০০ ভোট দেওয়া হয়, ভোটকেন্দ্রের বাইরে মুখোশধারীরা বাছাই করে করে কেন্দ্রে ঢোকানোর পর ভোট নেওয়া হয়, কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে জাল ভোটের উৎসব চলে, সে রকম নির্বাচনকে তো ‘চমৎকার’ বলবেনই নির্বাচন কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত খুলনা সিটির ভোটে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮৬টির ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীক নিয়ে খালেক পেয়েছেন একলাখ ৭৪ হাজার ৮৯১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের মঞ্জু পেয়েছেন একলাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত।
/ এআর /