কর্নাটকে বিজেপি রুখতে কি মন্ত্র দিলেন মমতা?
প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ১৬ মে ২০১৮ বুধবার
কর্নাটক নির্বাচনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে বিজেপি। তবে সরকার গঠনের জন্য এখনো দরকার দলটি আরও ৯ আসন। অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে কংগ্রেস সমর্থিত জেডিএস, এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসের জোট গঠনসহ রাজনৈতিক খেলা কোথা থেকে এল, এমন প্রশ্ন অনেকের। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ খেলাটা খেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল কর্ণাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সরগরম হতে থাকে দেশের জাতীয় রাজনীতি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচন কার্যত সেমিফাইনাল ম্যাচ কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শিবিরের কাছেই। এদিকে, কন্নড়ভূমে বিজেপির আসনের সংখ্যা বাড়তে থাকার ট্রেন্ড দেখেই একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতা নেত্রীদের ফোনকল যায় কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। সোনিয়াকে ফোন করেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধীকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে গোয়ায় ভোট-অঙ্ক কংগ্রেসের পক্ষে থেকেও শেষ মুহুর্তে কেবল পোক্ত রণনীতি দিয়ে কীভাবে বিজেপি জিতেছিল। পাশাপাশি , সোনিয়া গান্ধীকে তিনি আগেভাগে জমি পোক্ত করার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যপালের কাছে যাতে কংগ্রেস আগেই পৌঁছে যায়, সে পরামর্শও সোনিয়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তড়িঘ়ডি ফোন করে দিয়ে দেন বলে খবর। এদিকে , শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, বিজেপি ঝড় দাক্ষিণাত্যে রুখতে তৎপর হন তেলাঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও। চন্দ্রবাবু নাইডু ও কে সি রাওয়ের তরফেও ফোন যান সোনিয়া গান্ধীর কাছে। তাঁরাও বার বার সোনিয়াকে অনুরোধ করেন যাতে ভোট রাজনীতিতে কোনওভাবেই গেরুয়া শিবিরকে একচুল জমিও না ছাড়া হয়। এদিকে, কংগ্রেসের নিজস্ব কিছু রণনীতিও তৈরি ছিল। সব মিলিয়ে কর্ণাটকে জেডিএস-এর সঙ্গে আগে ভাগেই হাত মিলিয়ে নেয় কংগ্রেস। দলের প্রতিনিধিরা দেখা করেন রাজ্য়পালের সঙ্গেও। এদিকে, নিজের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে বিজেপি শিবিরও কর্ণাটকের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছে। রুদ্ধশ্বাস এই নাটকীয় পরিস্থিতিতে শেষ হাসি কে হাসে, এখন সেদিকে নজর গোটা দেশের।
সূত্র: আনন্দবাজার
এমজে/