প্রেগনেন্সিতে চিকিৎসা
প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
একজন গর্ভবতী নারীর যদি হাইপোথাইরয়ডিজম ধরা পড়ে তাহলে কিভাবে তার চিকিৎসা করবেন? প্রেগনেন্সিতে হাইপোথাইরয়ডিজমের চিকিৎসা এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ছাড়াও অন্যদেরও জানা থাকা উচিৎ। কারণ আমাদের দেশে হাইপোথাইরয়ডিজমের রোগী অনেক বেশি।
সচরাচর আমরা হাইপোথাইরয়ডিজমের চিকিৎসা দেওয়ার সময় লো ডোজে থাইরক্সিন শুরু করি এবং ১৫ দিন পর পর ডোজ বাড়িয়ে নরমাল ডোজে নিয়ে আসি। এর পর ১.৫-২ মাস পর পর ফলোআপ করি। কিন্তু প্রেগনেন্সিতে হাইপোথাইরয়ডিজমের চিকিৎসা শুরু করতে হয় হাইস্ট ডোজ থেকে, এর পর দরকার পড়লে কমিয়ে এডজাস্ট করতে হয়।
প্রেগনেন্সিতে থাইরক্সিন এর ডোজ ২-২.৪ মাইক্রোগ্রাম/ কেজি। অর্থাৎ ৫০ কেজি ওজন এর প্রেগনেন্ট নারীর ৫০ মাইক্রোগ্রাম এর ২টা বা ২.৫টা ট্যাবলেট দিয়ে শুরু করে ১৫ দিন পর FT4 করে ডোজ এডজাস্ট করা হয়। এরপর ১ মাস পর পর FT4 &TSH করে ফলোআপ করতে হয়।
আর পূর্ব থেকেই হাইপোথাইরয়েড রোগী প্রেগনেন্সির জন্য ট্রাই করলে তাকে বলে দিতে হয় কন্সিভ করলে নিজে থেকেই ২০-৩০% ডোজ বাড়িয়ে নিতে। পরে ডাক্তারের কাছে এসে রিপোর্ট করিয়ে ডোজ এডজাস্ট করবে এবং ফলোআপ করতে হবে প্রতি মাসে মাসে।
হাইপোথাইরয়েড মায়ের কি সমস্যা হতে পারে?
হাইপারটেনসন/ প্রিএক্লামসিয়া
এবরশন
সিজারের প্রয়োজনীতা বেড়ে যাওয়া
প্রসব পরবর্তী অধিক রক্তক্ষরণ
বাচ্চার কি ধরণের সমস্যা হতে পারে?
নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বাচ্চা প্রসব হওয়া
বাচ্চার ওজন কম হওয়া
বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া
নিউরোলজিকেল, সাইকোলজিকেল বা কগনেটিভ সমস্যা
প্রেগনেন্সিতে কখন থাইরয়েড টেষ্ট করাবেন?
পূর্বে কখনো থাইরয়েড এর সমস্যা ধরা পড়লে
পরিবারের অন্য কারো থাইরয়েড সমস্যা থাকলে
অন্য কোন অটো ইমুইউন রোগ থাকলে
বন্ধ্যাত্ব বা এবরশন এর হিস্ট্রি থাকলে
হাইপোথাইরয়ডিজমের লক্ষণ থাকলে।
এসএইচ/