ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ‘ধর্ষণ’, ২০ হাজার টাকায় ‘মিটমাট’

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১৭ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে উজ্জ্বল মিয়া নামের দুই সন্তানের জনক। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২ ও ৩ মে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি ৪ মে কাজল মিয়া নামের এক স্থানীয় কাউন্সিলর ‘মামলা করে ফায়দা হবে না’ জানিয়ে ২০ হাজার টাকায় মিটমাট করেন।

এ ঘটনায় অসুস্থ শিশুটির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতে শিশুর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ‘ধর্ষক’ উজ্জ্বল মিয়া পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, শিশুটির পরিবার হত-দরিদ্র। হাওর এলাকায় দিন-মজুরি করে তাদের সংসার চলে। প্রতিদিনের মতো গত ২ মে শিশুটিকে বাড়িতে একা রেখে বাবা-মা হাওরে কাজে যায়। এ সুযোগে দুই সন্তানের জনক উজ্জ্বল মিয়া শিশুটির বাড়িতে গিয়ে চেতনানাশক মিশ্রিত জুস দেয়। শিশুটি জুস খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে উজ্জ্বল। পরদিনে ফের একই কায়দায় শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে সে ধর্ষণ করে।

এতে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন মা-বাবার কাছে সে বিষয়টি জানায়। এরই মাঝে বিষয়টি স্থানীয়রাও জেনে যান।

বিষয়টি ধামাচাপা চুনারুঘাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজল মিয়া সালিশের উদ্যোগ নেন। তিনি ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যা হয়েছে তা ভুলে যেতে বলেন।

ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সংগঠক অন্নিকা দাশ বলেন, অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা না করানোয় তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি শিশুটির বাড়ি যাই। এসময় চুনারুঘাট থানা থেকে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিমের বাবা অভিযোগ করেছেন। আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

একে// এআর