ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ক্যান্সার রোধে পেঁপে-দুধের জুস

প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ১৮ মে ২০১৮ শুক্রবার

পেঁপে সহজলভ্য মিষ্টি জাতীয় সুস্বাদু একটি ফল। বিভিন্ন রোগ ও রোগের উপসর্গ নিরাময়ে পেঁপে ব্যবহারের প্রথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু দিন ধরে চলে আসছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা এই জুস খেতে পারে অনায়াসে।

বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয়ে থাকে এই ফলটিকে। তাই সুস্থ থাকতে বাস্তবিকভাবে পেঁপের তৈরি এই জুস খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ

দুধ আর পেঁপে মিশ্রিত এই জুস উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যে ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁতকে সুস্থ শক্তিশালী করে। ক্যালসিয়াম রক্তচাপ এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

এই জুস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাইপারটেনশন কমায় অনেকখানি। শরীরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় পেঁপে।

কৃমির চিকিৎসায়

এই জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন। এই উপাদানটি যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে তা কৃমির চিকিৎসায় বেশ ভাল কাজ করে। পেঁপে-দুধের প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ থাকার ফলে তা ক্ষত সারানোর সঙ্গে সঙ্গে এর লাল দাগও দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়

বিভিন্ন কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত পেঁপে ও দুধের জুস খেতে ভুলবেন না। কারণ

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

পেঁপে ও দুধের তৈরি জুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। পেঁপেতে আরেকটি উপকারি উপাদান রয়েছে, যা লাইকোপেন নামে পরিচিত। এই উপাদানটিও ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া এই জুসে ভিটামিন এ এবং ফসফরাসে পরিপূর্ণ।

ফুসফুসের রোগ অ্যাম্ফিসেমা প্রতিরোধে

যারা ধুমাপায়ী তারা অবশ্যই এই জুস পান করা খুবই জরুরী। পেঁপে-দুধে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ অ্যাম্ফিসেমা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যারা খুব বেশি ধূমপান করেন তাদের অবশ্যই খাওয়া উচিত।

পেশীর কোষ পুনর্গঠনে

পেঁপে-দুধ শুধুমাত্র আমাদের দেহের শক্তিকেই পুনরুজ্জীবিত করে না সেই সঙ্গে এটি পেশীর কোষ পুনর্গঠনেও সাহায্য করে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত দুধ তা পেশীর সুস্থতার ও গঠনের জন্য ভাল কাজ করে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই।

কেএনইউ/