গাজায় তদন্ত দল পাঠাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল
প্রকাশিত : ১১:০৯ পিএম, ১৮ মে ২০১৮ শুক্রবার
ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের বিরোধপূর্ণ সীমান্তবর্তী অঞ্চল গাজায় তদন্ত দল পাঠাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। গাজার ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর ইজরায়েলী বাহিনীর হামলার তদন্ত করবে এই দল। বিষয়টি কাউন্সিলের বিশেষ সভায় আজ শুক্রবার এক ভোটাভুটিতে পাস হয়।
আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এক ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। “জরুরী ভিত্তিতে স্বাধীন, আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন’ শিরোনামে এই ভোটাভুটি আয়োজিত হয়। কাউন্সিলের বিশেষ সভায় আয়োজিত এই ভোট ২৯টি সদস্য রাষ্ট্রের ভোটে পাস হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ও অস্ট্রেলিয়া এই দুই রাষ্ট্র এই তদন্ত দল পাঠানোর বিরুদ্ধে ভোট দেন। ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখে ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র।
ভোটের রেজুলেশনে বলা হয়, “তদন্তকারী দল ৩০ মার্চ ২০১৮ থেকে হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে ব্যাপক হামলা ইজরায়েলী সামরিক বাহিনী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করবে”।
এদিকে গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজরায়েলী বাহিনী ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গাঁজার মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ মুখপাত্র মাইকেল লিঞ্চ। তিনি বলেন, “ইজরায়েলী বাহিনী যেভাবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করছে তা যুদ্ধাপরাধের সামিল”।
তবে মানবাধিকার কাউন্সিলের এই অভিযোগের সমালোচনা করেছেন কাউন্সিলের মার্কিন প্রতিনিধি থিওডোর এলেগ্রা। এই ভোটাভুটিকে ‘পক্ষপাতমূলকভাবে ইজরায়েলের প্রতি’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “হামাসের বিরুদ্ধে কোন তদন্তের আদেশ না দিয়ে শুধু ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তের এই আদেশ এক তরফা”।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ইজরায়েলীরা সেসময়কার ফিলিস্তিনের যে অংশগুলো দখল করেছিল সেগুলো ফিরে পেতে গত রবিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। ‘মার্চ অফ রিটার্ন’ বা পুরনো জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে গাঁজা অভিমুখে পদযাত্রার আয়োজন করে তারা। তবে এই আন্দোলনের সাথে সন্ত্রাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’ যুক্ত আছে দাবি করে পদযাত্রায় গুলি বর্ষণ করে ইজরায়েলী সেনারা।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
এসএইচএস/এসি