ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১৯ মে ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:২০ পিএম, ২০ মে ২০১৮ রবিবার

আইন  অমান্যকারী ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে সতর্কতা জারি করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ থাকার কারণে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হচ্ছে ইউজিসি। বিবৃতি জারি হওয়ার পরে এসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সার্বিক তথ্য ইউজিসির ওয়েবসাইটে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আইন  অমান্যকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে  প্রত্যারিত না হয় সেই কারণে সর্তকতামূলকভাবে এই বিজ্ঞাপ্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত এ সর্তকতা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, কেউ অনুমোদনবিহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিংবা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস বা প্রোগ্রাম বা কোর্সে ভর্তি হলে তার অর্জিত সেই সনদ কাজে লাগে না। এব্যাপারে মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি ভবিষ্যতে কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না। এ তথ্য অনেকেই জানেন না। এসব  বিষয়ে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদেরকে জনাতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে ইউজিসি।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর শিক্ষাবর্ষের আগেই ইউজিসি থেকে এ তথ্য জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। আরএ কারণেই এই গণবিজ্ঞপ্তি।

ইউজিসি থেকে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ১০১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৯২টি কার্যক্রম চালচ্ছে। আর এর মধ্যে ২২টির ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে এগুলোর মধ্যে অবশ্য ৯টি নতুন। এগুলো এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি। ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতারিত না হয় সেজন্য সতর্ক করতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিকে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আলোকে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ব্যাপারেও সতর্ক করা হবে।

আনিত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, অবৈধ ক্যাম্পাস চালানো, অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানো, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশপ্রাপ্ত, সনদ বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত এবং বন্ধ ঘোষিত। তবে উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আবার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

এগুলোর মধ্যে ইউএসটিসির এমবিসিএসে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত নানা অভিযোগ আছে। এই ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দিনের পর দিন আন্দোলন হয়েছে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার ক্যাম্পাস বন্ধ করেছে বলে ১৪ মে ইউজিসিকে জানিয়েছে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গণবিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা চলমান। এমন ২২বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা উল্লেখ করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে নিশেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

টিআর/টিকে