পৃথিবীর দীর্ঘতম গাড়ি
প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২০ মে ২০১৮ রবিবার
লম্বায় ১০০ ফুট। বিলাসবহুল গাড়ি। দেখলে যে কারও একবার চড়ে দেখতে ইচ্ছা করবে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাড়ি এটি। লিমোজিন মডেলের গাড়িটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে।
শুধু লম্বায় নয়, সবদিক থেকেই গাড়িটি ব্যতিক্রমী। বিলাসবহুল গাড়িটির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল, স্পা রুম, কিং সাইজ বেড, সান ডেক ইত্যাদি। এই গাড়িতে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্যও রয়েছে একটি হেলিপ্যাড। এত বিশাল সাইজের গাড়িটি সড়কে চলাচলের অনুমতি পায়নি।
হলিউড চলচ্চিত্রে ব্যবহারের জন্য গাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। গাড়িটি তৈরি করেন ক্যালিফোর্নিয়ার ‘কাস্টম কার গুরু’ হিসেবে পরিচিত জয় অহরবার্গ। গাড়িটিতে ২৬টি চাকা ও ২টি চালক কেবিন রয়েছে।
‘আমেরিকার ড্রিম’ নামে লম্বা এ গাড়িটি নির্মাণ করা হয় ১৯৮০-এর দশকে। বিখ্যাত মার্কিন গাড়ি নকশাকার অহরবার্গের হলিউড কারশপে এটি তৈরি করা হয়। আর এজন্য ১৯৭০-এর দশকে গাড়ির জগতে সেরা কাডিলাক এলদোরাদো মডেলের একটি গাড়িকে বেছে নেন অহরবার্গ।
পুরনো এ মডেলকে ঝালিয়ে ১০০ ফুট লম্বা ও ২৬টি চাকাজুড়ে বিশাল এ গাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন তিনি। গাড়িটি সোজা পথে চালাতে খুবই সহজ। প্রশস্ত রাস্তায়ও একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কিন্তু গাড়ির জন্য একটাই সমস্যা, তা হল সরু পথে এটি পরিচালনা বা ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ এই বিশাল গাড়িটি চালকের নিজের আয়ত্তে রাখা খুব কষ্টকর।
সরু পথে একে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এর নির্মাতা গাড়িটির পেছনে একটি ব্যাকসিট ড্রাইভার সংযুক্ত করেন। আমেরিকা ড্রিমকে এজন্য শুধু হলিউড চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজেই ব্যবহার করা হতো।
২০০৭ সালে এটির প্রয়োজন ফুরিয়ে আসে। গাড়িটিকে একটি প্রচারমূলক যান হিসেবে ব্যবহারের জন্য ওই বছরই আমেরিকার একটি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়া হয়। তিন বছরের ইজারা শেষে নিউজার্সির গুদামঘরে তদারককারী সংস্থা গাড়িটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। ২০১২ সালে একটি নিলামে ওঠানোর জন্য নতুন করে গাড়িটিকে সংস্কার করা হয়।
এরপরই গাড়িটির ভাগ্য নতুন মোড় নেয়। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক অটোসিয়াম অটোমোটিভ টিচিং জাদুঘর ঘোষণা করে যে, আমেরিকান ড্রিম লিমোজিনকে সংরক্ষণ করা হবে। এখন থেকে গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করা হবে। গাড়িটিকে উপযুক্ত শিক্ষা উপকরণ হিসেবে গড়ে তুলতে আরও কিছু সময় লাগবে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
/ এআর /