মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
সাহায্য পেতে আরব দেশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল ট্রাম্প পুত্র
প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ২০ মে ২০১৮ রবিবার
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জন্য সে বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে আরব প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প পুত্র ট্রাম্প জুনিয়র।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন যৌন কেলেংকারি ও নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন সেই সময়েই নির্বাচন নিয়ে নতুন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প পুত্রের সঙ্গে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে ওই বৈঠকটি হয়। এতে অংশ নেয় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজদের একজন প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধির নাম জর্জ নাদের বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
জর্জ নাদের লেবানিজ বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক। বৈঠকটির আয়োজনে মধ্যস্থতা করে ব্যক্তিগত সামরিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক ওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান এরিক প্রিন্স।
বৈঠকে আরব যুবরাজদের পক্ষ থেকে নাদের ট্রাম্প জুনিয়রকে জানান যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে আগ্রহী ওই দুই যুবরাজ।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায় যে, ইজরায়েলের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা জোয়েল জামিল।
ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তার আইনজীবী অ্যালান ফুটেরফাস। তবে সেই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ওই বৈঠকটি হয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা বিজ্ঞাপনী নীতি নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প জুনিয়র সেগুলোতে আগ্রহী ছিলেন না।
ট্রাম্পের জন্য নতুন করে ঝামেলা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ ছিল বলে নির্বাচনের পরপরই অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এছাড়াও সিনেটও এ বিষয়ে নজরদারি করছে।
এর পাশাপাশি যৌন কেলেঙ্কারিতে বিতর্কিত অবস্থায় আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মাঝে নিউইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন ট্রাম্পের কফিনে যেন আরও একটি পেরেক ঢুকে দিল। যদি বিষয়টি সত্যি হয়, তাহলে আরও বড় গর্তে পরে যাবেন তিনি। কেননা, ১৯৭৪ সালে এক আইনের মাধ্যমে বিদেশি উৎস থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অর্থ গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।
//এসএইচএস// এসএইচ/