‘শ্রীদেবীকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে’
প্রকাশিত : ১০:০৫ পিএম, ২০ মে ২০১৮ রবিবার
শ্রীদেবীর মৃত্যু পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মকর্তা বেদ ভূষণ। তিনি দিল্লিতে এক প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা চালাতেন।
ফ্রি প্রেস জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা বলেন, একজনকে বাথটাবের মধ্যে ডুবিয়ে মারা খুবই সহজ ব্যপার। এর মাধ্যমে অপরাধী অনেক সময় সেভাবে কোনো প্রমাণ রাখে না। এটাকে দুর্ঘটনা হিসাবেই তুলে ধরা হয়। অথচ পরিকল্পনা মাফিকই খুন করা হয়। শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে।
বেদ ভূষণ জানান, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তিনি `জুমেরিয়াহ এমিরেটস টাওয়ার`-এ গিয়েছিলেন তদন্তের স্বার্থে। অথচ তাকে শ্রীদেবীর সেই ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে শ্রীদেবী যে ঘরে ছিলেন তার পাশের ঘরটায় তিনি থাকার ব্যবস্থা করেন এবং শ্রীদেবীর মৃত্যু পরবর্তীকালে সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেন। তখন অনেক অসামঞ্জস্যপূর্ণ বেশকিছু ঘটনা তার চোখে পড়ে। তখন তার মনে হয় শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কিছু একটা লুকোনো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাকে খুন করা হয়েছে এই দাবি তুলেছিলেন পরিচালক সুনীল সিং। সুনীল সিংয়ের প্রশ্ন ছিল, শ্রীদেবী উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর বাথটাবটি ছিল ৫ ফুটের। তাহলে কীভাবে তিনি বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হতে পারে?
পাশপাশি, সুনীল সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের দাবি করেন। শ্রীদেবীর নামে ওম্যামে ২৪০ কোটি টাকার একটা ইন্সুরেন্স ছিল। আর সে টাকাটা তার পরিবার তুলতে পারবেন তখনই যখন শ্রীদেবী শুধু দুইবাইয়ে মারা যাবেন। আর শ্রীদেবী দুবাইতেই মারা গিয়েছেন। তাই তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েই যাচ্ছে।
পাশাপাশি পরিচালক সুনীল সিং দাবি করেছিলেন তিনি তার আইনি পরামর্শদাতার সঙ্গে দুবাইয়ের ওই হোটেলে গিয়ে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন। এনিয়ে সুনীল সিং প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন সুনীল সিং। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট ও শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
এমএইচ/এসি