মরিচ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকদের
প্রকাশিত : ০৮:০৩ এএম, ১৮ জুন ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৮:০৩ এএম, ১৮ জুন ২০১৬ শনিবার
মরিচ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলার অনেক কৃষকের। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি তারা। অল্প খরচে চাষ করে বেশী মুনাফা পাওয়ায় মরিচ চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।
অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে অন্যতম মরিচ। মসলা হিসেবে এর ব্যবহার নিত্য দিনের। তাই চাহিদাও বেশি।
চলতি মৌসুমে নীলফামারীর কৃষকরা জেলার ২ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে বাংলামতি, বালিঝড়া, বিন্দুসহ নানা জাতের মরিচ আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকা খরচ করে কৃষকরা পাচ্ছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
চলতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি দেড় মেট্রিক টনেরও বেশি উৎপাদন হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে মরিচ পরিবহনে নানা সমস্যা রয়েছে বলে জানান স্থাণীয় কৃষি কর্মকর্তা।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও কৃষকরা অতিরিক্ত ১শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন।
মরিচ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত চাষীরা। তারা জানান, ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে মরিচ উৎপাদন হচ্ছে কমপক্ষে ১৫ মণ। ৪ হাজার টাকা দরে প্রতিমণ মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা বিঘা প্রতি মুনাফা অর্জন করছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা।
উত্তারাঞ্চলে মরিচের সবচেয়ে বড় হাট ঠাকুরগাঁও সদরের ভাউলার হাট। সপ্তাহে দু’দিন মরিচ কিনতে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসছেন আড়তদার ও পাইকাররা।