ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

বর্জ্য শোধনে ১৪ চিনি কলে স্থাপন হচ্ছে ইটিপি

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২১ মে ২০১৮ সোমবার

দেশের ১৪টি চিনি কলে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চিনিকলগুলোতে ইটিপি স্থাপন প্রকল্পটি ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিনিকলগুলোতে গড়ে প্রতি মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের সাথে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লিটার বর্জ্য নির্গত হয়। এই বর্জ্য পরিশোধন করে পরিশোধিত পানি সেচ ও কারখানায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ফলে পরিবেশ সুরক্ষাসহ ভূগর্ভে পানির ক্রমহ্রাসমান স্তর রক্ষা হবে।

বর্তমানে দেশের সরকারি খাতের ১৫টি চিনিকলের বার্ষিক গড় উৎপাদন ক্ষমতা ২ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন। চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি উপজাত হিসেবে চিটাগুড়, প্রেসমাড ও ব্যাগাস উৎপাদিত হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষণকারী তরল বর্জ্য নির্গত হয়, যা অপরিশোধিত অবস্থায় নিকটবর্তী জমি বা জলাশয়ে জমা হচ্ছে। এ সব বর্জ্যে উচ্চমাত্রার বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) ও কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (সিওডি) থাকায় পানির অক্সিজেন মাত্রা কমে যাচ্ছে। তা ছাড়া পানিতে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী হাইড্রোজেন সালফাইড নিঃসৃত হয়।

এতে আয়রন ও অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে পানির রং কালো বর্ণ হয় এবং জলজ প্রাণী, গৃহস্থালী কাজে ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে চিনিকল এলাকার জলাশয়, ফসলী জমি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়।যার কারনে সরকার ইটিপি স্থাপনের এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আরকে// এআর