এতো নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই: প্রিয়াঙ্কা
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ২২ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
‘প্লিজ, আমার জন্য এত নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সামনে- পেছনে এত গাড়ি থাকতে হবে না। একটা গাড়ি থাকলেই চলবে।’ হলিউড আর বলিউডের জনপ্রিয় তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ঘিরে পুলিশির নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় বিরক্ত হয়ে এমন কথা বলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে উখিয়ায় রয়েল টিউলিপ হোটেল থেকে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যখন হাঁড়িখালী পৌঁছান, তখন সকাল ৯টা ৩২ মিনিট। রোহিঙ্গারা যে পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে, ভাঙার সেই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গাড়ি থেকে নেমে সেই পথে তিনি কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করেন। সেখান থেকে নাফ নদী আর মিয়ানমার দেখা যায়। এখানে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, হাসাহাসি করেন, ছবি তোলেন।
এ সময় নিরাপত্তার কড়াকড়ি দেখে বিরক্ত হন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিরাপত্তা কমানোর জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন। এখান থেকে গাড়িতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে টেকনাফের নেটং (উটনি) পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এই পথে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে কীভাবে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে, তা প্রিয়াঙ্কার সামনে তুলে ধরা হয়। এখানে ১৫ মিনিট অবস্থান করেন তিনি।
এরপর ল্যাদা বিজিবি চৌকির কাছে ইউনিসেফ পরিচালিত শিশুদের খেলাধুলার জন্য তৈরি স্থান পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে তাঁর ল্যাদায় অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি। পরে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে ইউনিসেফের গাড়িবহর উখিয়ার বালুখালীতে স্থাপিত অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরের দিকে রওনা হয়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বাংলাদেশে এসেছেন গতকাল সোমবার। সকাল আটটায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এখানে ঘণ্টা তিনেক অবস্থান করার পর তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে প্রিয়াঙ্কাকে উখিয়ায় রয়েল টিউলিপ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকবেন।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। গতকাল বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনখালী ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে যান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেখানে ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালে যান। রোহিঙ্গা শিবিরের শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের স্বাস্থ্য আর পড়াশোনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
ঢাকায় এসে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেছেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে যাচ্ছি। আমার ইনস্টাগ্রামে সেখানকার সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমাকে সেখানে অনুসরণ করতে থাকুন। এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের ভাবা উচিৎ। ভাবতে হবে আমাদেরও।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৯ মে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকায় আসেন।
আরকে// এসএইচ/