ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ‘আলোক থেরাপি’

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০১:৫৪ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার

বিশ্বে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগছেন। দিনে দিনে এ সংখ্যাটা আরও বাড়ছে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠদের বড় একটি অংশ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগছেন।

তবে ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রতিরোধে ওষুধ গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক মিলে ‘লাইট থেরাপি’ আবিষ্কার করেছে। লাইট থেরাপি ওষুধের চেয়ে কয়েকগুন বেশি শক্তিশালী।

লেক্সাটিভ জাতীয় ওষুধের তুলনায় নীল আলোর থেরাপি অনেক বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ শতাংশ মানুষই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।

এদিকে গবেষণায় দেখা গেছে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে ব্যবহৃত লেক্সাটিভ নানা রোগের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। তাই গবেষকরা এর বিকল্প হিসেবে লাইট থেরাপি বেছে নিয়েছেন। লাইট থেরাপির মাধ্যমে অন্ত্রে কিছু প্রোটিন উৎপাদন করে মূত্র থলির কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লেক্সাটিভ ওষুধ গ্রহণ করলে থলির নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়। এতে থলির কার্যকারিতা অনেকটা ওষুধের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে। তাই লেক্সাটিভের ব্যবহার কমানোর উপর জোর দিয়েছে তারা।

তবে লেক্সাটিভ কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে দারুণ কাজ করে থাকে বলেও তারা স্বীকার করেন। কেবল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই ওষুধটির উপর নির্ভরতা কমানোর কথা বলছেন তারা।

গবেষণা দলের অন্যতম প্রধান ড. হংজেন হো বলেন, সাধারণত ওষুধে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক উপাদান থাকে, যার প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর এ কারণেই আমরা নীল আলোক থেরাপির মাধ্যমে অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ানোর পক্ষে মত দিচ্ছি।

সূত্র: মেইল অনলাইন
এমজে/