শিশুরাই পরিচালনা করে যে ট্রেন
প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট। সবুজ পাহাড় ঘেরা শহরটির মধ্য দিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলে একটি ট্রেন। ট্রেনটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কিংবা সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেন না। কিন্তু তারপরও এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ট্রেন বললে মোটেও বেশি বলা হবে না। কারণ এই ট্রেনের বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ট্রেনটি পরিচালনার কাজটি সুনিপুণভাবে সম্পাদিত হয় শিশুদের হাতে।
সেখানে ট্রেন চালানো, ট্রেনের টিকিট বিক্রি, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষা, ট্রেন ছাড়ার সময়-সূচি, ট্রেনের সিগন্যাল সবই নিয়ন্ত্রিত হয় শিশুদের হাতে।
বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় রেলওয়ে ‘গিয়েরমেকভাসুতে’র পরিচালনায় নিয়োজিত শিশুদের ইউনিফর্ম লাল, নীল আর সাদা রঙের। চলতি বছরই ৭০তম বর্ষপূর্তি পালিত হলো বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় রেলওয়েটির।
নীল আকাশের নিচ দিয়ে ছায়াঢাকা ছোট্ট শহরের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলে ট্রেনটি। আর ওই ট্রেনটিতে উঠলে যে কারো মন ভালো হতে বাধ্য। কারণ চশমা পরা ছোট ছোট বাচ্চারা এসে যখন আপনার টিকেট চেক করবে তখন মন ভালো না হয়ে পারবেই না। টিকেট কাউন্টারও বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। শুধু তাই নয়, প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসার সময় আপনি খেয়াল করবেন স্যালুট জানিয়ে বিদায় জানানোর কাজে নিয়োজিত রয়েছে কয়েকটি শিশু।
সেখানে খুব কম সংখ্যক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি কাজ করে। কেবল ট্রেন চালক আর ইঞ্জিনিয়াররাই প্রাপ্ত বয়স্ক। আর সব কাজই সম্পদন করে শিশুরা।
উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে স্যাটেলাইট স্টেট থাকাকালে দেশটিতে সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। সেই সময়ে দেশটির শিশুদের দলীয় শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর এরই অংশ হিসেবে শিশুদের মধ্য নেতৃত্ব গুন এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টির জন্য চালু হয় শিশুদের দ্বারা পরিচালিত বিশেষ এই ট্রেন।
সূত্র: সিএনএন