ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পিরিয়ডের সময় বিরত থাকুন ১০ টি কাজ থেকে

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ২৩ মে ২০১৮ বুধবার

পিরিয়ডের সময় শরীরের ভেতরে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সঙ্গী হয় স্টামাক ক্র্যাম্প এবং মারাত্মক যন্ত্রণাও। তাই তো এই সময় শরীরের বেশি করে খেয়াল রাখা উচিত। লক্ষ রাখা উচিত কোনও ভাবে যাতে শরীরের ক্ষয় না ঘটে। শুধু তাই নয়, এই সময়ে শারীরিক কষ্ট কমাতে ডায়েটের দিকেও নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই সময় কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর শরীরের ভাল-মন্দ অনেকাংশেই নির্ভর করে। শুধু তাই নয়, মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে সুস্থ থাকতে এই নিয়মগুলোও মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন-

সারা দিন একটাই প্যাড পরে থাকবেন না

পিরিয়ডের সময় কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে খেয়াল করে প্রতি ৩-৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর প্যাডটা বদলে ফেলতে ভুলবেন না যেন!

অনিয়ন্ত্রিত হারে ডেয়ারি প্রোডাক্ট খাওয়া চলবে না

পিরিয়ডের সময় দুধ, চিজ বা দইয়ের মতো ডেয়ারি প্রোডাক্ট বেশি মাত্রায় খেলে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় শারীরিক কষ্ট মাত্রা ছাড়াতে সময় লাগে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার অনেকটা কাটা ঘায়ে লবণের ছেটা দেয় মাত্র। তাই তো এই পাঁচদিন দুধ এবং তা থেকে বানানো খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

ভাজাভুজি খাওয়া চলবে না

এমনিতেই জাঙ্ক ফুড খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল না। আর এই সময় এমন খাবার খেলে তো আরও বিপদ! প্রসঙ্গত, পিরিয়ডের সময় ফ্রায়েড খাবার খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে

এই সময় নিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক না করলে গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কিন্তু বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণেরও ভয় থাকে। তাই তো এই সময় এমনটা না করাই ভাল। নচেৎ মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।

বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া চলবে না

একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে, পিরিয়ডের সময় বেশি মাত্রায় লবণ রয়েছে এমন খাবার, যেমন ধরুন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় পদ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে পিরিয়ডের সময়কার কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তাই তো মাসের এই নির্দিষ্ট সময়ে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

খালি পেটে থাকা চলবে না

পিরিয়ডের সময় খালি পেটে একেবারেই থাকবেন না। এই সময় যেহেতু মাত্রতিরিক্ত পরিমাণে এনার্জি লস হয়, তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করাটা একান্ত প্রয়োজন।

কোল্ড ড্রিংক থেকে দূরে থাকতে হবে

এই নিয়মটা না মানলেও কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময় এই ধরনের পানীয় খেলে ইউটেরাইন ওয়ালে রক্ত থেকে যায়। এমনটা হতে থাকলে ৫-১০ বছর পরে গিয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যায়।

বেশি মাত্রায় শরীরচর্চা করা চলবে না

এই সময় অল্প বিস্তর শরীরচর্চা চলতে পারে। কিন্তু ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করা একেবারেই চলবে না। আর যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে তো একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না। এই নিয়মটা না মানলে কিন্তু যন্ত্রণা বাড়বে।

রাত জাগা চলবে না

এমনিতেই এই সময় শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। তার ওপর রাত জাগলে শরীরের কাজ করার ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে আরও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ঘুম না হওয়ার কারণে ক্লান্তিভাব এতটাই বেড়ে যায় যে দৈনন্দিন কাজ কর্মেও বাঁধা আসতে শুরু করে। তাই পিরিয়ডের সময় রাত জাগা একেবারেই চলবে না।

শসা খাওয়া যাবে না

পিরিয়ডের সময় শসা খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আসলে শসাতে উপস্থিত কিছু উপাদান এই সময় শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে, যে কারণে পরিস্থিত আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

একে//