মার্চ মাসে ৪ লাখ ৮৮হাজার ৮শ ৮৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৩৯ পিএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের সময় শুধু গেলো মার্চ মাসেই ৪ লাখ ৮৮হাজার ৮শ ৮৭ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বিজিবি। ইয়াবার চালান টেকনাফে মজুদ করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয় সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এদিকে কক্সবাজার শহরে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন হোটেল মোটেলকে ইয়াবা মজুদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নেয় তারা। বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
দেশের সর্বদক্ষিণে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমার আর এপারে বাংলাদেশ। মাঝখানে জলসীমানা পার হলেই টেকনাফের ভূ-খন্ড। এসব এলাকায় ছোট ছোট নৌকায় জেলের বেশে মাদক পাচার হচ্ছে অহরহ। টেকনাফ সীমান্তে প্রতিযোগীতামূলকভাবে বাড়ছে ইয়াবা পাচার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইয়াবা পাচারকারি গডফাদারদের সাথে আইনশৃংখলাবাহিনীর সখ্যতা থাকায় একদিকে ইয়াবা পাচার অব্যাহত থাকে। অন্যদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এসব পাচারকারি।
সীমান্তে বিজিবি’র কড়া নজরধারি থাকা স্বত্তেও পাচারের কথা স্বীকার করে অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দসহ অনেককেই আটক করা হয় বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।
অন্যদিকে কক্সবাজারের পর্যটনকে ঘিরে আবাসিক রিসোর্ট ও কলাতলীতে হোটেল মোটেল গুলো যেন হয়ে দাড়িয়েছে চিহ্নিত এবং নব্য ইয়াবা গডফাদারদের আশ্রয়স্থল ।
ভক্সপপ
তবে শহরের হোটেল মোটেল জোনে ব্যাপক নজরধারি বাড়ানোসহ অভিযানের কথা জানান পুলিশ প্রশাসন ও জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
টেকনাফের নাফ নদী ও সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি কক্সবাজারের হোটেল মোটেলে বিশেষ নজরদারির দাবি এলাকার সচেতন মহলের।