ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রমজানে তিন তারকার শুটিং

প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রমজানে টিভি তারকাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কারণ রোজার ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে সবাই নতুন নতুন নাটকে অভিনয় করেন। বর্তমানে সেই ব্যস্ততা চলছে। তারকারা এখন ঈদের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত। কিন্তু এখন তো রমজান মাস। অনেকেই আছেন যারা রোজা রাখেন। তবে রোজা রেখে তারকারা কিভাবে শুটিং করেন- এই কৌতুহল কিন্তু অনেকেরই। জেনেনিন রোজাদার কয়েকজন তারকার কথা-
আব্দুন নূর সজল
রোজা রেখে শুটিং করেন তিনি। কারণ অভিনয়টা তার কাজ। অন্য সময়ের চেয়ে বরং ডাবল কাজ করতে হয়।

সজল বলেন, ‘আমি রোজা রাখি, এটা প্রায় সবাই জানে। যেটা হয়, সাহরি খেয়ে একটু ঘুমাতে যাই।  দশটা-এগারোটা বেজে যায় ঘুম ভাঙতে। আমার ধানমণ্ডির বাসা থেকে স্পটে যেতে আরও কিছু সময় লাগে। একবার শুটিংয়ে ঢুকে গেলেই হলো। কাজ করতে করতে কখনও কখনও সাহরির সময়ও হয়ে যায়। শুটিং ইউনিটে ইফতার করতে ভালোই লাগে। আগেই বলে রাখি আমি কী খাব। সাধারণত জুস, খেজুর খাই। সম্ভব হলে ভাতের ব্যবস্থা করতে বলি। সবজি বা গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেলে প্রাণ ফিরে পাই। রোজায় শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইফতারিতে ভাত খেলে সতেজ হই।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
অন্য সবার মতো তিনিও চান রমজানে বাসায় থাকতে। ইবাদত-বন্দেগি করতে। কিন্তু কাজকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। রমজানের দুই মাস আগে থেকেই কাজের চাপ শুরু হয়।

এ বিষয়ে অপূর্ব বলেন, ‘ঈদের দিনও ব্যস্ততা কমে না। এমনও হয়েছে ঈদের নামাজ পড়ে স্টুডিওতে গিয়ে ডাবিং করে এসেছি। রমজানে আমাদের শিডিউলে তেমন পরিবর্তন নেই। শুটিংয়ে যেতে একটু দেরি হয়। এ কারণে শুটিং করতে হয় মধ্যরাত পর্যন্ত। বাসায় ইফতার করতে পারি না খুব একটা। ছেলে কিংবা বউ এটা মানতে চায় না। ভাবছি ইফতারির বিরতিতে ওদের সঙ্গে কয়েক দিন ইফতারি করব।’
মেহজাবীন চৌধুরী
এই অভিনেত্রীর ভাইবোনরা সবাই ছোট। একসঙ্গে ইফতার করার জন্য তারা খুব অনুরোধ করে। কিন্তু কাজের কারণে হয়ে ওঠে না।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্পেশাল কিছু রান্না হলে আম্মুকে রেখে দিতে বলি। শুটিং থেকে ফিরে সেটা খাই। আম্মু এখনো নিষেধ করে, ‘তুই ছোট, তোর রোজা রাখতে হবে না।’ তবু আমি চেষ্টা করি। আর শিডিউলের ব্যাপারে সবাইকে মোটামুটি বলে দিই, আমাকে সন্ধ্যার আগে ছাড়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যাঁরা শুটিংয়ের খোঁজখবর রাখেন তারা জানবেন, এটা সম্ভব হয় না।

এসএ/