হাসিনাজিকে আমি ভালোবাসি, উনিও আমায় ভালোবাসেন: মমতা
প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ২৫ মে ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ২৫ মে ২০১৮ শুক্রবার
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজি আমায় ভালোবাসেন, আমিও ওনাকে অনেক ভালোবাসি।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দুদিনের সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই তার সঙ্গে বৈঠকের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন এবং বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে এসে মমতা বলেন, ‘হাসিনাজির সঙ্গে আমার একটি বৈঠক ঠিক করেছি। ওইদিন সন্ধেবেলা আমরা দুইজন কথা বলবো। আমি হাসিনাজিকে খুব ভালোবাসি, উনিও আমাকে খুব স্নেহ করেন।
মমতা আরো বলেন, ‘হাসিনাজি আসছেন, সঙ্গে ওর ছোট বোন রেহানা আসছেন। বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রী আসছেন। আমরা খুব খুশি যে তাঁরা আসছেন। আমাদের এই সম্পর্ক, আমাদের এই আন্তরিকতা চিরকালীন। দুই দেশের মধ্যে আমরা অনেক সময়ে বৈঠক করেছি। উনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে খুব ভালোবাসেন। এপার বাংলা ওপার বাংলার মধ্যে সম্পর্ক চিরকালীন, সার্বজনীন এবং বিশ্বজনীন। এটা বিশ্ববাংলার একটা রূপরেখা, এখানে কোনো সীমারেখা কাজ করে না। এখানে আমাদের সভ্যতা, আমাদের আন্তরিকতা, আমাদের সংস্কৃতি কাজ করে। উনিও আমায় খুব ভালোবাসেন।
গত কয়েক বছর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময়ে উনি ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। খুব সম্মান দিয়েছিলেন। শুধু আজ নয়, উনি যখন বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন, তখনও আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। আজ নয়, চিরকাল। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চিরকাল থাকবে। বাংলাদেশকে আমার অভিনন্দন। বাংলাদেশ আরো ভালো থাকুক, আরো এগিয়ে চলুক। ভারতবর্ষের এবং বাংলাদেশের আরও উন্নতি হোক, এটা আমরা সব সময়ই চাই।’
মমতা এদিন বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইলিশ তো আমরাও উৎপাদন করছি। বাংলাদেশ তো দেয়, আমি কেন ইলিশ নিয়ে ঝগড়া করতে যাবো? বাংলাদেশের ইলিশ তো আমরা খাই। সুতরাং দুই দেশের ইলিশ খাবো। দুই বাংলার মিলন ছিলো, আছে, থাকবে। পশ্চিমবাংলার সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে কোনো ও পার্থক্য নেই। আমরা সবাই এক।’
আজ শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে অংশগ্রহণ এবং আগামীকাল শনিবার আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
টিআর/ এমজে