ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

৭ নবজাতকের মধ্যে চারজনই মারা গেছে   

প্রকাশিত : ০৭:২৬ পিএম, ২৬ মে ২০১৮ শনিবার

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে দুই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া সাত নবজাতকের মধ্যে চারজনই মারা গেছে। বাকি তিন নবজাতকের দু’জন হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে বাসায় ফিরেছে, অন্যজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।    

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সুইটি খাতুনের গর্ভের তিন নবজাতক মারা গেছে। গত ২৪মে সন্ধ্যা ৭টায় ৭০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে, ২৬ মে ভোররাতে  ৯০০ গ্রামের ছেলে ও ওদিন সকাল ১টায় ৯০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে মারা যায়।

সুস্থ নবজাতক জন্ম নেওয়ার বয়স গর্ভ ধারণের চল্লিশ সপ্তাহ। সাধারণত ২৮ সপ্তাহ হলেও বাঁচানো যায়। দুর্ভাগ্যবশত সুইটি খাতুন মাত্র ২৬ সপ্তাহে নবজাতক প্রসব করেন। সাধারণত ২ কেজি ৫০০ গ্রামের ওজন নিয়ে নবজাতক জন্ম নিলে ভালো বলা হয়। একটু কম হলেও নবজাতক বাঁচানো যায়।

অন্যদিকে সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের দু’জন সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে গেছে । অন্য দু’জনের একজন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় এবং অপরজন চিকিৎসাধীন। বাসায় ফিরে যাওয়া দুই নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। 

জানা গেছে, সনিয়ার চারজন নবজাতক একটু সুস্থ ছিল। তবে তাদের দু’জনের রক্ত মায়ের রক্তের সঙ্গে মিল ছিল। বাকি দুজনের রক্তের মিল নেই। সনিয়ার রক্তের গ্রুপ  ‘ও’ পজেটিভ। মারা যাওয়া ও হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছে এ দুজনের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। এ কারণে তাদের রক্ত ভেঙে গিয়ে সাদা হয়েছে। ফলে একজন মারা গেছে।

কেআই/এসি