ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

ব্রিটিশদের গণভোটের আর মাত্র দুইদিন বাকী

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ২১ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৫২ পিএম, ২১ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার

ইউরোপিয় ইউনিয়নে থাকা, না থাকা নিয়ে ব্রিটিশদের গণভোটের বাকী আর মাত্র দুইদিন। শেষ মুহুর্তের জরিপ বলছে, অধিকাংশ মানুষই চাইছে ইউরোপিয় ইউনিয়নে থাকতে। তবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অব্যাহত লোকসানের কারণে ইইউতে ব্রিটেনের থাকার বিপক্ষে সেখানে বসবাসকারী বেশিরভাগ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে ইউরোপের দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় ইউরোপিয় ইউনিয়ন। কিন্তু, জোটভুক্ত ২৮টি দেশে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে ইউরোপের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোর মানুষ পাড়ি জমাতে শুরু করে যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশগুলোয়। তখনি শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এছাড়া, ইইউ’র নীতির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্রিটিশদের। কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি। তার প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ২৩শে জুন অনুষ্ঠিত হবে এই গণভোট। তবে, শেষ মুহুর্তে এসে জোটভুক্ত থাকার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন তিনি। যদিও, এজন্য নিজ দলেই সমালোচিত হচ্ছেন ক্যামেরন। এদিকে, ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসানের কারণে ব্রিটেনে থাকা প্রায় ৫ লাখ বাঙ্গালি ব্রেক্সিট বা জোট ছাড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইইউ’র নীতির কারণে হুমকিতে পড়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। অভিবাসী নীতির কড়াকড়িতে ইউরোপ ছাড়া অন্যদেশ থেকে কর্মী আনা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে বেশি বেতনে অদক্ষ কর্মী রাখতে হচ্ছে তাদের। তবে, জাতীয় স্বার্থ এবং ইইউ’র সফলতা বিবেচনায় জোটে থাকার পক্ষে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তিন এমপি রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক এবং রুপা হক। ভোটের ফলাফল যাই হোক, এ’কারণে যুক্তরাজ্য-ইইউ সম্পর্কের অবনতি হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।