ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কংগ্রেস কি অর্থসংকটে পড়েছে?

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ২৮ মে ২০১৮ সোমবার

ভারতের সবচেয়ে পুরানো রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর ৭১ বছরের মধ্যে ৪৯ বছরই দেশ শাসন করেছে দলটি। সম্প্রতি দলটির অফিসিয়াল টুইটার থেকে সমর্থকদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা চেয়ে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক। সত্যিকার অর্থেই কংগ্রেস অর্থ সংকটে পড়েছে নাকি সমর্থকদের উজ্জীবীত করতেই এ উদ্যোগ এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে একদল এলিট বুদ্ধিজীবী কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮৮৫ সালে। দীর্ঘকাল দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা লব্ধ দলটি এখনো দেশটির প্রধান বিরোধী দল। পুরো দেশে ছড়িয়ে আছে এর অসংখ্য সমর্থক। কিন্তু দলটির অফিসিয়াল টুইটার থেকে বৃহস্পতিবার সহায়তা চেয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে-আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক। অনেকেই কংগ্রেসের এমন আবেদনে বিস্মিত হয়েছে—কারণ তারা বিশ্বাসই করতে পারছেননা যে ভারতের প্রাচীন দলটি অর্থ সংকটে পড়েছে।

কংগ্রেসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখভালের দায়িত্বে থাকা দিব্যা স্পন্দনা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, "আমাদের অর্থ নেই"। যদিও পর্যবেক্ষণ সংস্থা এসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) বলছে ২০১৭ সালে কংগ্রেসের আয় ছিলো ৩৩ মিলিয়ন ডলার। যদিও এটাকে কম অর্থ মনে করা হয় না তবে প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা দলের ঘোষিত অর্থের পরিমাণ ছিলো ১৫১ মিলিয়ন ডলারের বেশি।

দলগুলো মূলত সদস্যদের চাঁদা কিংবা ডোনারের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ বা অন্য অর্থনৈতিক উদ্যোগ থেকে অর্থ আয় করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো দলগুলোর আদৌ কি অন্য কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আছে যা থেকে তারা আয় করতে পারে? আবার যদিও দলগুলোকে তাদের আয় ব্যয়ের হিসেব প্রকাশ করতে হয় কিন্তু সেটি কি তারা আসলেই স্বচ্ছতার সাথে করে? এডিআর বলছে, দেশটিতে ৬৯% শতাংশ পার্টি আয়ের উৎস এখনো অজানা সূত্র।

এডিআরের একজন কর্মকর্তা কংগ্রেসের আবেদনকে বলছে - পাবলিক স্ট্যান্ট। তার মতে ক্লিন পার্টি হিসেবে পরিচিত লাভের জন্য এটা একটি স্মার্ট পদক্ষেপ। কিন্তু প্রশ্ন হলো ভারতে নির্বাচনী প্রচারণা এখন অনেক ব্যাপ্তি লাভ করেছে। বিমান ভাড়া করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কৌশলবিদ এমন নানা দিক তৈরি হয়েছে। আর এসব কারণে ২০১৯ সালের নির্বাচন হবে যে কোনো দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কংগ্রেস ও বিজেপির অনেক অর্থ প্রয়োজন বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমজে/