চেন্নাইয়ের তৃতীয় আইপিএল জয়ের কারণ
প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ২৮ মে ২০১৮ সোমবার
তিন বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। এই রেকর্ড রয়েছে একমাত্র মুম্বইয়ের। এই জয়ে অধিনায়ক ধোনির কৃতিত্ব যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে টিম হিসেবে চেন্নাইয়ের মেলে ধরার ক্ষমতা। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে ততই নিজেদের আরও সঙ্ঘবদ্ধ করেছে টিম ধোনি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক চেন্নাইয়ের তৃতীয় বার আইপিএল জয়ের কয়েকটি কারণ।
অবশ্যই বলতে হবে শেন ওয়াটসনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের কথা। ফাইনালে ওয়াটসন করলেন ৫৭ বলে অপরাজিত ১১৭ রান। একটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচকে একাই একপেশে করে দিলেন চেন্নাইয়ের এই অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার।
কলকাতা আগের ম্যাচে রশিদ খানকে আক্রমণ করতে গিয়ে ডুবেছিল। ধোনির দল সেখানে রশিদের বিরুদ্ধে ঝুঁকি নেয়নি। সিঙ্গলস নিয়ে হায়দরাবাদের অন্য বোলারদের জন্য অপেক্ষা করেছে। উইলিয়ামসনের দলের সন্দীপ শর্মা, সিদ্ধার্থ কল-সহ বাকি বোলাররা সেই চাপটা রাখতে পারেননি বলেই খেলাটা ওয়াটসনদের কাছে এতটা একপেশে হয়ে গিয়েছিল।
এ দিনের খেলাটা ছিল চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে হায়দরাবাদের বোলিংয়ের। ভুবনেশ্বর কুমার শুরুটাও সে রকমই করেছিলেন। কিন্তু, চেন্নাইয়ের নিখুঁত পরিকল্পনা উইলিয়ামসনদের ক্রমেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
ইনিংসের হাল কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন শিখর এবং কেন উইলিয়ামসন। ধবন ২৬ রান করে আউট হন। পরে শাকিব-আল-হাসানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামসন। তবে তা থিতু হয়নি বেশিক্ষণ। উইলিয়ামসন(৪৭) রানে ফিরতেই রান রেট কমে যায় হায়দরাবাদের।
শেষ মুহূর্তে চোটের কারণে বাদ পড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর বদলে সুযোগ পাওয়া শ্রীবৎস গোস্বামী সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ। শিখর ধবনের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভুলে আউট হয়ে যান শুরুতেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই চমৎকার ছন্দে বল করতে থাকেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। ফলে শুরুতে সে ভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শিখর ধবনের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানকে সুন্দর ভাবে আটকে রাখেন চেন্নাইয়ের বোলাররা।
টসে জিতে ফিল্ডিং। ক্রিকেট দুনিয়ায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ‘ভাগ্য’ নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। নিন্দুকেরা বলেন, তাঁর মতো ভাগ্য নাকি খুব কম ক্রিকেটারেরই আছে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পরে ব্যাট করে, রান তাড়া করার একটা সুখ্যাতি আছে। মেগা ফাইনালে টস জিতে প্রথম কাজটা সেরে ফেলেন মাহি। পরিকল্পনা মতোই হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠান।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমজে/