তারকা খেলোয়াড়দের ছেলেবেলার বিশ্বকাপ স্মৃতি
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২৯ মে ২০১৮ মঙ্গলবার
(ফাইল ফটো)
ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই উন্মাদনা। বিশেষ করে ছেলেবেলায় এই উন্মাদনা বেশি কাজ করে। তবে বিখ্যাত খেলোয়াড়দের ছোটবেলায় এই বিশ্বকাপের স্মৃতি কেমন ছিল এ নিয়ে রয়েছে নানাজনের কৌতুহল। হ্যাঁ তারকা খেলোয়াড়দের ছোটবেলার বিশ্বকাপ স্মৃতি তুলে ধরা হলো-
নেইমার (ব্রাজিল ফরোয়ার্ড): নেইমারের বিশ্বকাপ স্মৃতিও ১৯৯৪ বিশ্বকাপের। তখন তার বয়স দুই বছর। তিনি ঠিকঠাক মনে করতে পারেন না সে স্মৃতি। তবে তার মন বলে, হল্যান্ডের বিপক্ষে রোমারিওর গোলটা বোধ হয় দেখেছিলেন। বেবেতোর ক্রস থেকে গোল করেছিলেম তিনি। তার স্মৃতি এমনটাই বলে।
লুকা মডরিচ (ক্রোয়েশিয়া মিডফিল্ডার): লুকা তখন বেশ বড়। ১৩ বছরের বালক। ফুটবল পায়ে বেশ দৌড়ানো শেষ তার। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের স্মৃতি তার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে আছে। সেবার ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে উঠেছিল। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জয়ের পর আমরা কেবল খুশি হয়েছিলাম এবং খুশিই হয়েছিলাম। আমার মনে আছে তখন থেকেই দেশের জন্য ওমন কিছু করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম।
গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল স্টাইকার): তিনি কেবল ফুটবলার না একজন পেইন্টারও। তার স্মৃতি বলতে ২০০৬, ২০১০ এবং ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপেই তিনি ব্রাজিল দলের পতাকা, জার্সি এবং তারকাদের ছবি একেছেন রাস্তায় রাস্তায়। আর এবার তার ছবি আঁকা হচ্ছে ব্রাজিলের রাস্তায়।
হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড স্টাইকার): ২০০২ বিশ্বকাপে তিনি বেশ বেড়ে উঠেছেন। সেবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের তারকা রোনালদিনহো ফ্রি কিক থেকে চোখ ধাঁধাঁনো এক গোল করেন। আর গোলটা ছিল হ্যারি কেনের দেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। হ্যারি কেন বলেন, ওটা আমাকে এখনো খোঁচায়।
জুলিয়ান ড্রাক্সলার (জার্মান ফরোয়ার্ড): জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। খেলবেন এবারের বিশ্বকাপেও। তার ছেলেবেলার বিশ্বকাপের স্মৃতি ২০০২ এবং ২০০৬ সালের। তবে ২০০২ সালে তিনি খুব ছোট ছিলেন বলে জানান। ভালো মনে করতে পারেন না বিশ্বকাপের কথা। তবে ২০০৬ বিশ্বকাপ জার্মানিতে হয়েছিল। সেটা খুব মনে আছে বলে জানান তিনি। ম্যাচের খুঁটিনাটি সেবার পরিবারের সঙ্গে দেখেছিলেন এবং বেশ মজা করেছিলেন এই জার্মান তারকা।
পল পগবা (ফ্রান্স মিডফিল্ডার): পগবার স্মৃতি মধুর। দেশকে তিনি ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছেন। তিনি বলেন, আমার তখন বয়স ছয় থেকে সাত হবে। ব্রাজিলকে ফাইনালে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ফ্রান্স। বাড়িতে বসে সবার সঙ্গে খেলা দেখেছিলাম।
এসএইচ/