ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ক্যাম্পাসে আড্ডামুখর ইফতার  

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ২৯ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ৩০ মে ২০১৮ বুধবার

ঢাকা কলেজ মাঠে ইফতার যেন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। ছবি একুশে টিভি অনলাইন

ঢাকা কলেজ মাঠে ইফতার যেন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। ছবি একুশে টিভি অনলাইন

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। অন্য সময় জাতীয় আর আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যেই ক্যাম্পাসগুলো সদাব্যস্ত থাকে মিছিল আর স্লোগানে, রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে অনেকটা ‘পান থেকে চুন খসলেই’ পরস্পরের ওপর হামলার ঘটনা নৈমিত্তিক, সেই  সবুজ ক্যাম্পাসে রমজান আসলে তৈরি হয় স্বর্গীয় শান্তি ও উৎসবের আমেজ। সোমবার কলেজ মাঠে কোমল ঘাসের সবুজ গালিচায় এমনি ভ্রাতৃত্বের দৃশ্য দেখা মেলে।

কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের শতাধিক তরুণের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পরিণত হয় প্রাণের মিলনমেলা। দেখে মনে হয়েছিল পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এক অকৃত্রিম দৃশ্য। ইফতারে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থী নয় অংশ নেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীও। মুসলিম বন্ধুদের ইফতারের এই প্রিয় মুহূর্তে শরিক হয়ে অসাম্প্রদায়িকতার অনুপম দৃষ্টান্তও উপহার দিয়ে থাকে।

সোমবার বিকালে সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়লে শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি। ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হল বের হয়ে এসে একসঙ্গে আসরের নামাজ পড়ে ঢাকা কলেজে মসজিদে। নামাজ শেষ করে কিছু শিক্ষার্থী বাহির থেকে ইফতারি কিনে আনে। ইফতারির মধ্যে থাকে আলুর চপ, পিয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, খেজুর, বুন্দিয়া, বড়া এবং নানা রকম ফল-ফলাদি। এছাড়া মাগরিবের নামাজের পর রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আগে থেকেই সবাই ইফতারিরর মেনু তৈরি করে রাখেছিলো আজকের ইফতারিতে কি খাবে তারা। ইফতারি তৈরির ব্যাপারটায় বেশ আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার করায় আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগের থেকে আরও গাঢ় হচ্ছে। আমরা রোজা থেকে যে আত্মশুদ্ধি লাভ করছি তার একটি হচ্ছে শত্রু-মিত্রু বিভেদ দূর করে এক হয়ে দেশের পক্ষে কাজ করা। ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থী জহির বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে না পারার দুঃখ অনেকটাই ঘুচে যায় বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করে। এখানে অনেক আন্দন আছে।

বাপ্পি নামের আর এক শিক্ষার্থী বলেন, রমজানে তাদের ক্লাস চলে। তাই তাদের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তারা এ ইফাতারিকে তাদের বাড়িতে বসে ইফতার করার সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ। তবে এ চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে ইফতার করাটা তাদের শিক্ষাজীবনের নতুন একটি জায়গায় দ্বার করিয়েছে।

 টিআর/ এসএইচ/