যুবরাজ সালমান নিহতের গুজব
গভীর ষড়যন্ত্র দেখছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ০৩:১৭ পিএম, ৩০ মে ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৩০ মে ২০১৮ বুধবার
সৌদি আরবের যুবরাজ সালমান বিন আবদুল আজিজকে নিয়ে ইরানি গণমাধ্যমের মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরণের সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে ইরান যে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় শত্রু তা আবার প্রমাণ করেছে দেশটির গণমাধ্যম।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ সালমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা বহর নিয়ে চলা ফেরা করেন। তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োজিত রয়েছে। তবে সম্প্রতি ইরানি গণমাধ্যমে প্রিন্স সালমানের মৃত্যুর গুজবের জের ধরে মনে হচ্ছে, প্রিন্স সালমান গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে আরব বিশ্বে তার শত্রুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
ইরানি গণমাধ্যমগুলোর করা প্রতিবেদনগুলো খতিয়ে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানিয়েছে, সৌদি আরবকে বিশ্বের কাছে অস্থিতিশীল হিসেবে তুলে ধরতেই ইরানি গণমাধ্যম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ সংবাদ প্রচার করেছে। এদিকে শুধু ইরানি গণমাধ্যম-ই নয়, বেশ কয়েকটি আরব দেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছে, সব কয়টি সংবাদের উৎস দেওয়া আছে ইরান ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সৌদি রাজ প্রাসাদে গোলাগুলির ঘটনাকে রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের চেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছে। ইরানি গণমাধ্যমসহ মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়, ওই রাতে প্রিন্স সালমানের গায়ে দুটি গুলি লাগে। এর জের ধরে ইরানি গণমাধ্যমে খবর বেরোয়, প্রিন্স সালমান মারা গেছেন। দীর্ঘ এক মাস লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়ায় তার মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি করে দেশটির গণমাধ্যম।
এদিকে প্রিন্স সালমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে ইরানের ইসলামি রিভ্যূালোশনারি গার্ডকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষ্য যতগুলো সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সব জায়গায় ইসলামি রিভ্যূালোশনারি গার্ডকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এদিকে ইরানের সব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ আনেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেই। তিনি বলেন, দেশটির গণমাধ্যমগুলোকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা স্বেচ্ছায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
এমজে/