ফেনীতে বিশেষ এক ধরনের টুপির চাহিদা
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ২৩ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ২৩ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার
ফেনীর দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়ার কয়েকটি গ্রামের কারিগরদের তৈরী বিশেষ এক ধরনের টুপির চাহিদা রোজা ও ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে দ্বিগুন। এসব টুপি রপ্তানী হচ্ছে ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও। তাই শুধু ফেনী নয়, টুপি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজবাড়ীর কারিগররাও।
সুঁইয়ের ফোঁড়ে নান্দনিক নকশা। কাপড়গুলো বিশেষ কায়দায় সেলাই ও ভাঁজ করে বানানো হচ্ছে টুপি।
ফেনীর দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়ায় সেভেন ষ্টার, সুপার ষ্টার, গ্রামীন, জনসেবাসহ কয়েকটি হস্তশিল্প কারখানায় তৈরি হচ্ছে টুপি। আবার ঘরে বসে অনেক নারী কারুকার্য করে টুপি জমা দেন এসব কারখানায়। বিশেষ এ ধরনের টুপি তৈরীতে সময় লাগে ১৫ দিন থেকে এক মাস। একেকটি টুপির পেছনে খরচ পড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকা; আর বিদেশে রপ্তানি করা হয় এক হাজার থেকে বারোশ টাকায়। তবে ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রমিকদের। আর মালিকরা বলছেন, থান কাপড়, সুতাসহ উপকরণের দাম বেশি।
ফেনীর বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্র বলছে, তারাসহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ১০টি গ্রামে টুপি তৈরী করে আয় করছেন ৩ শতাধিক কারিগর। ২০০৪ সাল থেকেই এসব টুপি যাচ্ছে ওমানে।
বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে, টুপি রপ্তানী আরো বাড়ানো সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন এমনই প্রত্যাশা উদ্যেক্তাদের।