আসছে সাড়ে ৪ লাখ কোটির টাকার বাজেট (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ৩১ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ৩ জুন ২০১৮ রবিবার
উন্নত দেশে শ্রমবাজার সন্ধান, চাহিদা অনুযায়ী কর্মী তৈরি করে প্রবাসী আয়বৃদ্ধি, গ্রামের মানুষের অর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোসহ অর্থনীতির ভীত মজবুত করার লক্ষ্য নিয়ে আসছে সাড়ে চার লাখ কোটিরও বেশী নতুন বাজেট। নির্বাচনী বছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তার আওতায় আসছে লাখ লাখ নুতন মুখ। জিডিপির প্রবৃদ্ধির নিশানা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
দৃশ্যমান উন্নয়নের যে জমিন তৈরি হয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে ৭ জুন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ আর নিজের ১২তম বাজেট দেয়া দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকারও বেশী বাজেটের খরচ মেটাতে অর্থমন্ত্রী আয় ধরতে যাচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে যে ঘাটতি থাকবে তার বেশীরভাগটাই অর্থমন্ত্রী দেশের ব্যাংক এবং বিদেশেী ঋণ থেকে জোগাড় করবেন। ভোটারদের চাপে না ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ থাকবে আগামী বাজেটে।
অর্থমন্ত্রী নির্বাচনী বাজেট বলতে নারাজ হলেও বয়স্ক, দুঃস্থ, বিধবা, প্রতিবন্ধীদের যে সরকারী সহায়তা দেয়া হয় সে কর্মসূচীতে যুক্ত হচ্ছে ১১ লাখ নতুন মুখ। আবার রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট, উড়ালসড়ক নির্মানসহ যোগাযোগ ও পরিবহন খাত কিংবা বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবায় আগামী বাজেটে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হবে। জনপ্রিয়তার জন্য নেয়া বিশেষ প্রকল্পের মানের অবনতি কিংবা টেকসই উন্নয়নের এসডিজি অর্জনের রাস্তায় যেন ব্যঘাত না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে সরকারকে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। উন্নতবিশ্বে শ্রমবাজার সন্ধান ও সে অনুযায়ী দক্ষকর্মী তৈরিতে মনযোগ দেয়া হবে। আবার দেশেও বিনিয়োগ আকর্ষণ ও কর্মসংস্থান, গ্রামভিত্তিক সহায়তাও থাকছে।
নতুন নতুন মেগাপ্রকল্প ঘোষণার আলোড়ন তোলার চেষ্টা থাকবে আগামী বাজেটে। সেই সঙ্গে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ বহু চলমান প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ অব্যাহত রাখা এবং মাঠে-ময়দানের টাকাকড়ির প্রবাহের মধ্যে যাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে না যায়, নজর থাকবে সেদিকেও।