শিশু সাংবাদিক থেকে অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ৩১ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৪৩ পিএম, ৩১ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার
অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল অাবদুল মুহিত বলেছেন, আমি শিশু সাংবাদিক ছিলাম। শিশু সাংবাদিক থেকে আজকের অর্থমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইঅারএফ) নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৪৪ সাল। অামার বয়স তখন মাত্র ১০ বছর। অামার এক মামা তখন দৈনিক অাজাদ পত্রিকায় কাজ করতেন। অাজাদ পত্রিকায় তখন মুকুল ফৌজ নামে একটি পাতা ছিল। সেই পাতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল শিশু সংগঠন মুকুল ফৌজ।
অামার মামা অামাদের চার ভাই বোনকে ওই সংগঠনের সদস্য করে দেন। অামার সদস্য নং ছিল ১১৫৫। অামি সেই পাতায় লিখতাম। সিলেটে তখনকার সময়ে অামাদের সিনিয়র ভাইয়েরা মুকুল ফৌজ সংগঠন গড়ে তুলেছিল। একটা পর্যায়ে সেটা খুব শক্তিশালী সংগঠনে রূপ নেয়।
১৯৪৭ সালে অামাদের সেই সব সিনিয়র ভাইরা পড়ালেখার পাঠ চুকায়। সংগঠটিও তখন থেকে অাস্তে অাস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
এর কিছুদিনের মধ্যে সিলেটে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হতে শুরু করে। অামি সম্পাদককে বলে একটি পাতায় লিখা শুরু করি। সম্পাদক অামার অাগ্রহ দেখে খুশী হন। তিনি অামাকে বলেন, যদি চাও তুমি নিজে একটি পাতা নিয়ে নিতে পার। পাতাটির দায়িত্ব তোমার। অামি পাতাটি নিয়ে নিই এবং লিখতে শুরু করি।
যেহেতু পুরো একটি পাতার দায়িত্ব অামার সেহেতু পাতার জন্য অামি বন্ধুদের কাছে লিখা চাইতে শুরু করি। যাকে যেখানে পাই লেখা খুঁজি। কিন্তু কেউ তেমন একটা সাড়া দেয় না। একজন মাত্র সাড়া দিয়েছিলেন। তিনি নাসির চৌধুরী।
ওই পাতায় অামি ইচ্ছে মতো লিখতাম। যা মাথায় অাসতো তাই লিখতাম। নামে বেনামে লিখতাম।
এর মধ্যে ১৯৫০ সালে একটি বড় ভূমিকম্প হয়। অামি ভূমিকম্পের ওপর লিখার জন্য বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যোগাড় করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম লেখাটি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এমন কঠিন লেখা পছন্দ নাও করতে পারে।
তখন অামি ভূমিকম্প নিয়ে একটি গল্প লিখি। গল্পের বিষয় ছিল, পৃথিবীটা একটা থালার ওপর দাঁড়িয়ে অাছে। থালাটি একটি কৈ মাছের পিঠের ওপর রাখা। কৈ মাছ যখন শ্বাস নেয়, তার ফুলকা যখন বাড়ে কমে তখন পৃথিবী কেঁপে উঠে। অামার সেই গল্প খুব প্রশংসা পেয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।
আআ/এসএইচ/