মেসি, নেইমারের গোলে অন্নসংস্থান দশ হাজার শিশুর
প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ২ জুন ২০১৮ শনিবার
লিওনেল মেসি ও নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র) গোল করলেই এ বার থেকে হাসি ফুটবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে! অভিনব এই পরিকল্পনা একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংস্থার।
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুধু নয়, ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দুই তারকা যত গোল করবেন, তার প্রতিটির জন্য ১০ হাজার স্কুল পড়ুয়ার মধ্যাহ্নভোজের খাদ্যের পিছনে যাবতীয় খরচ জোগানো হবে! অবশ্য গোটা ভাবনাটাই রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র অঙ্গ। এমন অভিনব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের তারকা। মেসি বলেছেন, এমন মহান উদ্যোগে সামিল হতে পেরে গর্ববোধ করছি। ভাবতেই পারছি না, আমাদের এক-একটা গোলের এত শক্তি। এখন থেকে গোলের জন্য প্রাণপাত করবো ওদের কথা ভেবে। আশা করি, অনেক অনেক শিশুর মুখে হাসিও ফোটাতে পারবো। নেইমারের কথায়, আমরা চাই শিশুদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে। চেষ্টা করবো সব রকমভাবে এই পরিকল্পনা সফল করতে। তাই আমি আর মেসি একসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছি।
ক্ষুধার্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দুই তারকাই এই মুহূর্ত ব্যস্ত বিশ্বকাপ জয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে। মেসি না নেইমার— রাশিয়ায় কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ ট্রফি তা অবশ্য সময়ই বলবে। তবে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা তার উত্তরসূরিকে চাপমুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও তিনি বিশ্বকাপে মেসিদের নিয়ে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। কিন্তু মারাদোনা মানেই তো চমক। মেসির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, আমি মেসিকে একটাই পরামর্শ দেব। নিজের খেলাটা উপভোগ করো। বিস্ময়কর হচ্ছে, এখানেই থামেননি। যোগ করেছেন, ওর উচিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কে কী বলছে, তা নিয়ে মাথা না ঘামানো। মেসির নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। ওকে শুধু মাঠে নেমে নিজের খেলাটা উপভোগ করতে হবে। গোপন করেননি আর্জেন্টিনা কোচ হর্হে সাম্পাওলি সম্পর্কে তার মনোভাব। মারাদোনা বলেছেন, সাম্পাওলি কীভাবে দলটাকে খেলাচ্ছে, আমি জানিই না। শুধু এ বারের দলের অনেককে চিনি। আমি নিশ্চিত, দেশকে কাপ এনে দিতে এই ছেলেরা নিজেদের উজাড় করে দেবে। তা হলে কি আর্জেন্টিনাও ফেভারিট? মারাদোনা এ বার সতর্ক। বলেছেন, আমার তো মনে হয় আর্জেন্টিনার সামনে কাপ জেতার দারুণ সুযোগ রয়েছে। তবে আর্জেন্টিনাকে ফেভারিট বলবো না। কারণ, ফেভারিটরা অতীতে কখনও বিশ্বকাপ জেতেনি।
আর্জেন্টিনার আর এক প্রাক্তন তারকা হার্নান ক্রেসপো অবশ্য মারাদোনার সঙ্গে মেসির তুলনা নিয়েও বিরক্ত। তিনি বলেছেন, ওরা দু’জনই আর্জেন্টাইন। কেনও ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াই থাকবে? আমার তো মনে হয়, ফুটবলের ইতিহাস লেখা হলে দু’জনকেই একটা আলাদা আর বিশেষ জায়গা দিতেই হবে।
তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আর্জেন্টিনা ফুটবলে মারাদোনার অতুলনীয় অবদান। শুধু ট্রফি জেতাই নয়, সব ক্ষেত্রে। মেসির পুরোটাই শুধু ফুটবল কেন্দ্রীক। এই ক্রেসপোই কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করার পরে তোপ দেগেছিলেন মেসির বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছিলেন, সাম্পাওলি নন, দলটা আসলে গড়েছেন মেসি। নিজের পছন্দের ফুটবলারদেরই দলে রেখেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক!
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//