ওজন কমাতে আনারসের শরবত!
প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ২ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৭:৫৪ পিএম, ৪ জুন ২০১৮ সোমবার
চাট, রায়তা, চাটনি কিম্বা স্মুদিস– এরকম নানান খাবারেই আনারস ব্যবহার করা হয়। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও আনারসের জুরি মেলা ভার। আনারসে অনেক পরিমানে ম্যাঙ্গানীজ থাকে যা আমাদের ফার্টিলিটির বিষয় সাহায্য করে, এছাড়াও ভিটামিন C র ও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো আনারস। আনারসে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম ও ব্রোমালিন থাকে যা জ্বলন বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গলা ব্যথা, আন্ত্রিক অনিয়মিতা, জয়েন্টের ব্যথা প্রভৃতি নিবারনেও আনারস অত্যন্ত ফলদায়ক। এবং একই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ কমাতেও আনারস উপকারী ।
বিপাকের জন্য ভালো-
আনারসে ব্রোমেলিন নামে এক উৎসেচক থাকে যা মূলত সরবতে পাওয়া যায়, এই উৎসেচক প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে ফলে পেটের অতিরিক্ত মেদ কমে যায়। এছাড়াও লাইপেজ নামের আর এক উৎসেচকের সঙ্গে মিলিতভাবে ক্রিয়া করে ফ্যাট বিপাকেও সহায়তা করে।
ফাইবারের ভালো উৎস-
ম্যাঙ্গানীজ ও ভিটামিন C এর মতই আনারসে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। আনারসের শাঁসে থাকা এই ফাইবার অত্যন্ত উপকারী। ফাইবার থাকার ফলে আনারস খাওয়া পরে একটা তৃপ্তি বোধ আসে, পেট ভর্তি থাকে। চট করেই পুনরায় ক্ষিদে পায় না।
হজমে সহায়ক-
আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উৎসেচক থেকে এক ধরনের রস নিঃসৃত হয় যা হজমের পক্ষে খুবই উপকারী। যে কোনো খাবারে যখন আনারসের রস ব্যবহৃত হয় তখন সেই খাবারটি হজমে সহায়ক হয়ে ওঠে। এবং ভালো হজম হওয়া মানেই রোগা হওয়ার সবচেয়ে দ্রুত সমাধান। ডা. রুপালি দত্ত জানিয়েছেন, সঠিকভাবে হজম না হলে অর্থাৎ আমরা যদি খাবারের মাধ্যমে গৃহীত পুষ্টি ঠিকভাবে হজম না করতে পারি তবে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে। হজম ঠিক মত না হলে তা আমাদের শরীরের বিপাকীয় হার কমিয়ে দেয় ফলে ক্যালোরি বার্ন হতেও সমস্যা হয়।
মনে রাখবেন –
ডায়বেটিক রোগীদের জন্য আনারস ফলদায়ক নয়। এতে ব্লাডসুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে কারণ আনারসে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে। তবে পরিমান মতো খেলে ক্ষতি হয় না, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে খেলে তা আপনার মেদ ঝরানোর কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। গ্লুকোজ যেমন আপনাকে তৃপ্ত করে তেমনই ফ্রুক্টোজ খিদে বাড়িয়ে দেয়।
তবে যে কোনো কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে তা আপনার ক্ষতি করবেই। ফলে সঠিক মাত্রা জেনে সেবন করুন এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
এসএইচ/