ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

শারাপোভা বনাম সেরিনা

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ৩ জুন ২০১৮ রবিবার

গ্র্যান্ড স্ল্যামে আবার দেখা যাবে সেরিনা উইলিয়ামস বনাম মারিয়া শারাপোভা। ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পরে প্রথম বার। রোলঁ গ্যারোজে তৃতীয় রাউন্ডে দু’জনই জিতলেন দাপট দেখিয়ে। সেরিনা হারালেন জার্মানির জুলিয়া জর্জেসকে। পাশাপাশি শারাপোভার সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভা।    

শারাপোভার মতো দাপট না থাকলেও জার্মানির জুলিয়া জর্জেসের বাধা পেরোতে বিশেষ বেগ পেতে হল না সেরিনাকে। জিতলেন ৬-৩, ৬-৪ । বোঝালেন কেনও জিমি কোনর্স বলেছেন, ‘যে কারও বিরুদ্ধে যে কোনও সময় ফেভারিট সেরিনা।’ কার্যত জিমির কথাটাই মেনে নিয়ে শারাপোভাও বললেন, ‘সংখ্যা মিথ্যে কথা বলে না।’

ফরাসি ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে রুশ টেনিস সুন্দরীর সঙ্গে সেরিনা উইলিয়ামসের সম্ভাব্য সাক্ষাত নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। মারিয়ার আরও মন্তব্য, ‘সেরিনার সঙ্গে খেলতে নামা মানে সব সময়ই পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে। তাই চ্যালেঞ্জটা নিতে হয় উল্টোদিকে যে থাকে তার।’

এর আগে সেরিনার সঙ্গে শারাপোভার দেখা হয়েছে ২১ বার। ফল সেরিনার পক্ষে ১৯-২। যা নিয়ে শারাপোভার স্বীকারোক্তি, ‘ওর খেলায় এমন বেশ কিছু দিক আছে যেখানে আমি অনেক অনেক পিছিয়ে।’ ডোপ করায় নির্বাসন কাটিয়ে এসে রোলঁ গ্যারোজে শনিবারই সেরা ম্যাচ খেললেন শারাপোভা। এক ঘণ্টার ঠিক ১ মিনিট কম লাগল তার ষষ্ঠ বাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিরুদ্ধে জিততে। কতটা দাপট নিয়ে জিতলেন তার প্রমাণ ৬-২, ৬-১ স্কোরে। শারাপোভা নিজেও হালফিলে এতটা খুশি হননি। তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচ নিয়ে তার কথা, ‘জানতাম প্লিসকোভাকে হারানো সহজ নয়। আসলে কোর্টে ফিরে আসার পর থেকে প্রথম লক্ষ্য ছিল সেরাদের হারানো। আজ সেটা পেরেছি। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলাম। শেষ পর্যন্ত ছন্দটা ধরে রাখতে পেরেছি।’

প্লিসকোভার বিরুদ্ধে পেরেছেনে। এখন দেখার ‘চিরশত্রু’ সেরিনার সামনে কত দূর কী করতে পারেন। শেষ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সেরিনাই কিন্তু জিতেছিলেন। আর এ বার শারাপোভার সুবিধা সেরিনার চেয়ে একটু হলেও বেশি বিশ্রাম পাচ্ছেন। তা ছাড়া তার প্রত্যাবর্তনটা ঘটেছে সেরিনার কিছু দিন আগে। শনিবার শারাপোভা মেরেছেন ১৮টি উইনার। প্রসঙ্গত তার মতোই প্লিসকোভাও বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর। এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম দিকে মারিয়ার সার্ভিস নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই রিচেল হোগেনকাম্প বা ডোনা ভেকিচের বিরুদ্ধে সহজে জেতেননি। কিন্তু শনিবার তার খেলা আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠল নিখুঁত।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে/